পাতা:লোকসাহিত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૨ লোকসাহিত্য সমগ্র চিত্র পলকের মধ্যে জাগাইয়া তুলিতে হয় । অংশ যোজনা করিয়া কিছু গড়িয়া তুলিলে চলিবে না । চিৎপুরের মাঠেতে বালি চিকচিক্‌ করে। এই একটিমাত্র কথায় একটি বৃহৎ অন্তর্বর মাঠ মধ্যাহ্নের রৌদ্রালোকে আমাদের দৃষ্ট্রিপথে আসিয়৷ উদয় হয় । পরনে তার ডুরে শাড়ি ঘুরে পড়েছে । রে শাড়ির ডোর রেখাগুলি ঘূর্ণাজলের আবর্তধারার মতো তন্ত গাত্রষষ্টিকে যেমন ঘুরিয়া ঘুরিয়া বেষ্টন করিয়া ধরে তাহ ঐ এক ছত্রে এক মুহূর্তে চিত্রিত হইয়া উঠিয়াছে। আবার পাঠাস্তরে আছে— পরনে তার ডুরে কাপড় উড়ে পড়েছে। সে ছবিটিও মন্দ নহে । আয় ঘুম আয় ঘুম বাগদিপাড়া দিয়ে। বাগদিদের ছেলে ঘুমোয় জাল মুড়ি দিয়ে । ঐ শেষ ছত্ৰে জাল মুড়ি দিয়া বাগদিদের ছেলেট। যেখানে-সেখানে পড়িয়া কিরূপ অ কাতরে ঘুমাইতেছে সে ছবি পাঠকমাত্রেই উপলব্ধি করিতে পারিবেন। অধিক কিছু নহে, ঐ জাল মুড়ি দেওয়ার কথ। বিশেষ করিয়া বলাতেই বাগ দি সন্তানের ঘুম বিশেষরূপে প্রত্যক্ষ হইয়াছে। আয় রে আয় ছেলের পাল মাছ ধরতে যাই। মাছের কাটা পায়ে ফুটল দোলায় চেপে যাই । দোলায় আছে ছ পণ কড়ি গুনতে গুনতে যাই । এ নদীর জলটুকু টলমল করে । এ নদীর ধারে রে ভাই বালি ঝুরুঝুরু করে । চাদমুখেতে রোদ লেগেছে রক্ত ফুটে পড়ে ।