পাতা:লোকসাহিত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেভুলানো ছড়া २ > জাদু, এ তো বড়ে রঙ্গ জাদু, এ তে বড়ে রঙ্গ । চার তিতে দেখাতে পার যাব তোমার সঙ্গ ॥ নিম তিতে, নিস্থন্দে তিতে, তিতে মাকাল ফল । তাহার অধিক তিতো, কন্তে, বোন-সতিনের ঘর । জাদু, এ তো বড়ে রঙ্গ জাদু, এ তো বড়ে রঙ্গ । চার হিম দেখাতে পার যাব তোমার সঙ্গ ॥ হিম জল, হিম স্থল, হিম শীতলপাটি । তাহার অধিক হিম, কন্তে, তোমার বুকের ছাতি । কবিসম্প্রদায় কবিত্বস্বষ্টির আরম্ভকাল হইতে বিবিধ ভাষায় বিচিত্র ছন্দে নারীজাতির স্তবগান করিয়া আসিতেছেন, কিন্তু উপরি-উদ্ধৃত স্তবগানের মধ্যে যেমন একটি সরল সহজ ভাব এবং একটি সরল সহজ চিত্র আছে এমন অতি অল্প কাব্যেই পাওয়া যায়। ইহার মধ্যে অজ্ঞাতসারে একটুখানি সরল কৌতুক আছে। সীতার ধচুক-ভাঙা এবং দ্রৌপদীর লক্ষ্যবেধ পণ খুব কঠিন পণ ছিল সন্দেহ নাই। কিন্তু এই সরলা কন্যাটি যে পণ করিয়া বসিয়াছে সেটি তেমন কঠিন বলিয়া বোধ হয় না। পৃথিবীতে এত কালো ধলে রাঙা মিষ্টি আছে যে তাহার মধ্যে কেবল চারিটি মাত্র নমুনা দেখাইয়া এমন কন্যা লাভ করা ভাগ্যবানের কাজ। আজকাল কলির শেষ দশায় সমস্ত পুরুষের ভাগ্য ফিরিয়াছে, ধনুৰ্ভঙ্গ লক্ষ্যবেধ বিচারে -জয় এ-সমস্ত কিছুরই আবশ্যক হয় না ; উলটিয়া তাহারাই কোম্পানির কাগজ পণ করিয়া বসেন, এবং সেই কাপুরুষোচিত নীচতার জন্য তিলমাত্র অত্মগ্লানি অনুভব করেন না । ইহা অপেক্ষ আমাদের আলোচিত ছড়াটির নায়ক-মহাশয়কে যে সামান্য সহজ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া কন্যা লাভ করিতে হইয়াছিল সেও অনেক ভালো। যদিও পরীক্ষার শেষ ফল