পাতা:লোকসাহিত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেভুলানো ছড়া, \So শেষ ছত্ৰ দেখিলেই বিদিত হওয়া যায়, শাশুড়ি কিসে ভুলিবে এই পরম দুশ্চিম্ভ। তখনো সম্পূর্ণ ছিল। কিন্তু উড়কি ধানের মুড়কি দ্বারাই সেই দুঃসাধ্য ব্যাপার সাধন করা যাইত এ কথা যদি বিশ্বাসযোগ্য হয়, তবে নিঃসন্দেহ এখনকার অনেক কন্যার মাতা সেই সত্যযুগের জন্য গভীর দীর্ঘনিশ্বাসসহকারে আক্ষেপ করিবেন। এখনকার দিনে কস্তার শাশুড়িকে যে কী উপায়ে ভুলাইতে হয় কন্যার পিতা তাহা ইহজন্মেও ভুলিতে পারেন না। কন্যার সহিত বিচ্ছেদ একমাত্র শোকের কারণ নহে, অযোগ্য পাত্রের সহিত বিবাহ সেও একটা বিষম শেল। অথচ, অনেক সময় জানিয়া শুনিয়া মা-বাপ এবং আত্মীয়ের স্বার্থ অথবা ধন অথবা কুলের প্রতি দৃষ্টি করিয়া নিরুপায় বালিকাকে অপাত্রে উৎসর্গ করিয়া থাকেন। সেই অন্যায়ের বেদন সমাজ মাঝে মাঝে প্রকাশ করে । ছড়ায় তাহার পরিচয় আছে। কিন্তু পাঠকদের এ কথা মনে রাখিতে হইবে যে, ছড়ার সকল কথাই ভাঙাচোরা হাসিতে কান্নাতে অদ্ভুতে মেশানে । ডালিম গাছে পরভু নাচে । তাক্‌ধুমাধুম বাদি বাজে । আয়ী গো চিনতে পার ? গোটা দুই অন্ন বাড়ো ৷ অন্নপূর্ণ। দুধের সর। কাল যাব গো পরের ঘর } পরের বেটা মারলে চড় । কানতে কানতে খুড়োর ঘর । খুড়ো দিলে বুড়ে বর ॥ ২ পাঠ্যস্তর ; অন্নব্যঞ্জন