পাতা:লোকসাহিত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেভুলানো ছড়া 8X চোখ খাও গো বাপ-মা, চোখ খাও গো খুড়ে । এমন বরকে বিয়ে দিয়েছিলে তামাকখেগো বুড়ে। বুড়োর হ'কো গেল ভেসে, বুড়ে মরে কেশে। নেড়ে চেড়ে দেখি বুড়ে মরে রয়েছে। ফেন গালবার সময় বুড়ে নেচে উঠেছে ৷ বৃদ্ধের এমন লাঞ্ছনা আর কী হইতে পারে! এক্ষণে বঙ্গগৃহের যিনি সম্রাট, যিনি বয়সে ক্ষুদ্রতম অথচ প্রতাপে প্রবলতম, সেই মহামহিম খোকা-খুকু বা খুকুনের কথাটা বলা বাকি আছে। প্রাচীন ঋগবেদ ইন্দ্র-চন্দ্র-বরুণের স্তবগান উপলক্ষে রচিত— আর মাতৃহৃদয়ের যুগলদেবতা খোকা এবং পু"টুর স্তব হইতে ছড়ার উৎপত্তি। প্রাচীনত হিসাবে কোনোটাই নূ্যন নহে। কারণ, ছড়ার পুরাতনত্ব ঐতিহাসিক পুরাতনত্ব মহে, তাহ সহজেই পুরাতন । তাহা আপনার আদিম সরলতাগুণে মানবরচনার সর্বপ্রথম। সে এই উনবিংশ শতাব্দীর বাষ্পলেশশূন্য তীব্র মধ্যাহরৌদ্রের মধ্যেও মানবহৃদয়ের নবীন অরুণোদয়রাগ রক্ষা করিয়া আছে। এই চিরপুরাতন নববেদের মধ্যে যে স্নেহগাথা, যে শিশুস্তবগুলি রহিয়াছে তাহার বৈচিত্র্য সৌন্দর্য এবং আনন্দ-উচ্ছাসের আর সীমা নাই। মুগ্ধহৃদয়৷ বন্দনাকারিণীগণ নব নব স্নেহের ছাচে ঢালিয়া এক খুকুদেবতার কত মূর্তিই প্রতিষ্ঠা করিয়াছে— সে কখনো পাখি, কখনো চাদ, কখনো মানিক, কখনো ফুলের বন । ধনকে নিয়ে বনকে যাব, সেখানে খাব কী । নিরলে বসিয়া চাদের মুখ নিরখি । ኻ ভালোবাসার মতো এমন স্বইছাড়া পদার্থ আর কিছুই নাই। সে আরম্ভকাল হইতে এই স্বষ্টির আদি-অস্তে অভ্যস্তরে ব্যাপ্ত হইয়া রহিয়াছে তথাপি স্থষ্টির নিয়ম সমস্তই লঙ্ঘন করিতে চায়। সে যেন স্থষ্টির লৌহ