পাতা:লোকসাহিত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেভুলানো ছড়া 8 © ' থেনা নাচন থেনা। বট পাকুড়ের ফেনা । বলদে খালো চিনা, ছাগলে খালো ধান । সোনার জাদুর জন্তে যায়ে নাচ না কিনে অণন ॥ কেবল তাহাই নহে। খোকার প্রত্যেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে এই নৃত্যকে স্বতন্ত্র সীমাবদ্ধ করিয়া দেখা সেও বিজ্ঞানের দূরবীক্ষণ বা অণুবীক্ষণের দ্বারা সাধ্য নহে, স্নেহবীক্ষণের দ্বারাই সম্ভব । হাতের নাচন, পায়ের নাচন, বাট মুখের নাচন— নাট। চক্ষের নাচন, কাটালি ভুরুর নাচন । বঁশির নাকের নাচন, মাজা বেঙ্কুর নাচন— অণর মাচন কী । অনেক সাধন ক’রে জাদু পেয়েছি । ভালোবাসা কখনো অনেককে এক করিয়া দেখে, কখনো এককে অনেক করিয়া দেখে, কখনো বৃহৎকে তুচ্ছ এবং কখনো তুচ্ছকে বৃহৎ করিয়া তুলে। ‘নাচে রে নাচে রে জাদু, নাচনখানি দেখি !’ নাচনখানি ! যেন জাদু হইতে তাহার নাচনখানিকে পৃথক করিয়া একটি স্বতন্ত্র পদার্থের মতো দেখা যায় ; যেন সেও একটি অাদরের জিনিস। ‘খোকা যাবে বেডু করতে তেলিমাগীদের পাড়া । এ স্থলে 'বেডু করতে না বলিয়া বেড়াইতে’ বলিলেই প্রচলিত ভাষার গৌরব রক্ষা করা হইত, কিন্তু তাহাতে খোকাবাবুর বেড়ানোর গৌরব হ্রাস হইত। পৃথিবীমৃদ্ধ লোক বেড়াইয়া থাকে, কিন্তু খোকাবাবু ‘বেডু করেন। উহাতে খোকাবাবুর বেড়ানোটি একটু বিশেষ স্বতন্ত্র এবং স্নেহাস্পদ পদার্থরূপে প্রকাশ পায় । খোকা এল বেড়িয়ে । দুধ দাও গো জুড়িয়ে ॥