ওপ্রথম সংস্করণের বিজ্ঞপ্তি এই লোক-নীতি পুস্তকখানি কখন কাহার দ্বারা লিখিত হইয়াছে, তাহার বিবরণ পাওয়া যায় নাই । তবে গ্রন্থখানি যে অতি প্রাচীন ইহা সকলকে স্বীকার করিতে চইবে । কারণ লোকনীতি গ্রন্থে মোট গাথা সংখ্যা ১৬৬টি । পণ্ডিত, সুজন, বাল দুৰ্জ্জন, মিত্র, স্ত্রী, রাজা ও প্রকীর্ণক এই সাতটি কাণ্ড । এই সপ্ত কাণ্ডে স্বল্প হইতে ৫টি, জাতক হইতে ৯টি, ধৰ্ম্মপদ হইতে ৯টি ও চাণক্য শ্লোকের সঙ্গে মিল ১৯টি এবং জ্যোতিষ শাস্ত্র চইতে গৃহীত ৫টি গাথা দেখা যায়। যদি চাণক্য শ্লোক হইতে গাথাগুলি গৃহীত হয়, তাছ চইলে চাণক্যের জন্ম খৃষ্ট শকের ৩১৯বৎসর পূৰ্ব্বে । আবার চাণক্য পণ্ডিত পালি কুম্ভ, জাতক, ধৰ্ম্মপদ প্রভৃতি গ্রন্থ তক্টতে গাথাগুলি সংস্কুতে যে পরিবর্তন করিয়াছেন, তাহাও দেখা যায় । ফিশেযুক্ত, চন্দ্র গুপ্তকে কুটনীতি বিশারদ চাণক্যই পাটলিপুত্রের সিংহাসনে স্থাপন করিয়াছিলেন । মহামহোপাধ্যায় সতীশ চন্দ্র বিদ্যাভূষণ চাণক্য বৌদ্ধ পণ্ডিত বলিয়া প্রমাণ দিয়াছেন। H তবে লোক-নীতির গ্রন্থকার বৌদ্ধ কি না ? যদি ইহায় প্রমাণ করিতে হয়—“বজিত্ব রক্তমত্তষং” গাথার অংশ হইতে বৌদ্ধ বলিয়া গৃহীত হয়। আবার প্রকীর্ণক বর্গের কতক গাথা বুদ্ধ-ভাষিত ত্রিপিটক শাস্ত্রের ছায়াবলম্বনে বা বৌদ্ধ ম নীতি-অনুকুলে লিখিত হয় নাই । তাই অবৌদ্ধ বলিয়াও সন্দেহ হয়। যেমন—“সম্পূৰ্বরকৃখে ব্ৰহ্মাব” গাখার ব্ৰহ্মা ও বিশ্বকৰ্ম্মাকে পূজা কর। এই গাৰটি বৌদ্ধমত বিরুদ্ধ। আবার জ্যোতিষ শাৰ
