পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা
১৫

গোমতীতীরে অতিকঠোর তপস্যা আরম্ভ করেন। দেবতারা, তদ্দর্শনে সাতিশয় শঙ্কিত হইয়া, রাজর্ষির সমাধি ভঙ্গ করিবার নিমিত্ত মেনকানাম্নী অপ্সরাকে পাঠাইয়া দেন। মেনকা তদীয় আশ্রমে উপস্থিত হইয়া মায়াজাল বিস্তার করিলে, রাজর্ষির সমাধিভঙ্গ হইল। বিশ্বামিত্র ও মেনকা আমাদের সখীর জনক জননী। পরে নির্দ্দয়া মেনকা সদ্যঃ প্রসূতা তনয়াকে অরণ্যে পরিত্যাগ করিয়া স্বস্থানে প্রস্থান করিল। আমাদের সখী সেই বিজন বনে অনাথা পড়িয়া রহিলেন। এক পক্ষী, কোন অনির্ব্বচনীয় কারণে স্নেহরসপরবশ হইয়া, পক্ষপুট দ্বারা আচ্ছাদন করিয়া, রক্ষণাবেক্ষণ করিতে লাগিল। দৈবযোগে, তাত কণ্ব পর্যটন ক্রমে সেই সময়ে সেই স্থানে উপস্থিত হইলেন। সদ্যপ্রসূতা কন্যাকে তদবস্থ পতিত দেখিয়া তাঁহার অন্তঃকরণে কারুণ্য রসের আবির্ভাব হইল। তিনি, তৎক্ষণাৎ আশ্রমে আনয়ন করিয়া, স্বীয় তনয়ার ন্যায় পালন করিতে আরম্ভ করিলেন এবং, প্রথমে এক শকুন্ত অর্থাৎ পক্ষী লালন করিয়াছিল, এই নিমিত্ত নাম শকুন্তলা রাখিলেন।

 রাজা শকুন্তলার জন্মবৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়া কহিলেন সম্ভব বটে; নতুবা মানুষীতে এরূপ অলৌকিক রূপ