পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩
শকুন্তলা

কালীন সহচরগণে পরিবেষ্টিত হইয়া, সেই দিকেই আসিতেছেন। তখন তিনি মনে মনে এই বিবেচনা করিলেন বিকলাঙ্গের ন্যায় হইয়া থাকি; তাহা হইলেও, যদি আজি বিশ্রাম করিতে পাই। এই বলিয়া, ভগ্নশরীরের ন্যায় একান্ত বিকল হইয়া রহিলেন এবং, রাজা সন্নিহিত হইবামাত্র, সাতিশয় কাতরতা প্রদর্শনপূর্ব্ক কহিলেন বয়স্য! আমার সর্ব্ব শরীর অবশ হইয়া আছে, হস্তপ্রসারণ করি এমত ক্ষমতা নাই; অতএব কেবল বাক্যদ্বারাই আশীর্ব্বাদ করি।

 রাজা মাধব্যকে তদবস্থ অবস্থিত দেখিয়া, জিজ্ঞাসা করিলেন বয়স্য! তোমার শরীর এরূপ বিকল হইল কেন? মাধব্য কহিলেন কেন হইল কি আবার; স্বয়ং অস্থি ভাঙ্গিয়া দিয়া অশ্রুপাতের কারণ জিজ্ঞাসা করিতেছ!। রাজা কহিলেন বয়স্য! বুঝিতে পারিলাম না। মাধব্য কহিলেন নদীতীরবর্ত্তী রেতস যে কুব্জভাব অবলম্বন করে সে কি স্বেচ্ছা বশতঃ সেই রূপ করে, অথবা নদী-বেগপ্রভাবে। রাজা কহিলেন নদীবেগ তাহার কারণ। মাধব্য কহিলেন তুমিও আমার অঙ্গবৈকল্যের। রাজা কহিলেন সে কেমন?। মাধব্য কহিলেন আমি কি বলিব,ইহা কি উচিত হয় যে রাজকার্য্য পরিত্যাগ করিয়া বনচরের ব্যবসায় অব-