পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা
২৭

হইয়া, রোমন্থ অভ্যাস করুক; বরাহের অশঙ্কিত চিত্তে পল্বলে মুস্তা ভক্ষণ করুক; আর আমার শরাসনও বিশ্রাম করুক। সেনাপতি কহিলেন মহারাজের যেমন অভিরুচি। রাজা কহিলেন তবে যে সকল মৃগয়নুচর পূর্ব্ব বন প্রস্থান করিয়াছে তাহাদিগকে ফিরাইয়া আন। আর সেনাসংক্রান্ত লোকদিগকে বিশেষ করিয়া নিষেধ কর যেন তাহারা কোন ক্রমে তপোবনের উৎপীড়ন না জন্মায়।

 সেনাপতি যে আজ্ঞা মহারাজ বলিয়া নিষ্ক্রান্ত হইলে, রাজা সন্নিহিত মৃগয়াসহচরদিগকে মৃগয়াবেশ পরিত্যাগ করিতে আদেশ করিলেন। তদনুসারে সমুদায় পরিচারকগণ তথা হইতে প্রস্থান করিলে, রাজা ও মাধব্য উভয়ে সন্নিহিত সুশীতল লতামণ্ডপে প্রবিষ্ট হইয়া উপবেশন করিলেন।

 এইরূপে উভয়ে নির্জ্জনে উপবিষ্ট হইলে,রাজা মাধব্যকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন বয়স্য! তুমি চক্ষুর ফল পাও নাই; যেহেতু, দর্শনীয় বস্তুই দেখ নাই। মাধব্য কহিলেন কেন তুমি ত আমার সম্মুখে রহিয়াছ। রাজা কহিলেন তা নয় হে, আমি আশ্রমললামভূতা কদুহিতা শকুন্তলাকে উল্লেখ করিয়া কহিতেছি। মাধব্য, কৌতুক করিবার নিমিত্ত, কহিলেন এ কি বয়স্য! তপস্বিকন্যায়