পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮
শকুন্তলা

অভিলাষ। রাজা কহিলেন বয়স্য! পুরুবংশীয়েরা এরূপ দুরাচার নহে যে অনুচিত বস্তুর উপভোগে অভিলাষ করে। তুমি জান না, শকুন্তলা মেনকাগর্ভসম্ভূতা রাজর্ষি বিশ্বামিত্রের কন্যা; তপস্বীর আশ্রমে প্রতিপালিত হইয়াছে এই মাত্র; নতুবা, বস্তুতঃ সে তপস্বিকন্যা নহে।

 মাধব্য, শকুন্তলার প্রতি রাজার প্রগাঢ় অনুরাগ দেখিয়া, হাস্যমুখে কহিলেন যেমন পিণ্ডখর্জজূর আহার করিয়া রসনা মিষ্টরসে অভিভূত হইলে তেঁতুল খাইতে অভিলাষ হয়; সেইরূপ, স্ত্রীর পরিভোগে পরিতৃপ্ত হইয়া তুমি এই অভিলাষ করিতেছ। রাজা কহিলেন বয়স্য! তুমি তাহাকে দেখ নাই এই নিমিত্ত এরূপ কহিতেছ। মাধব্য কহিলেন তার সন্দেহ কি; সে বস্তু অবশ্যই রমণীয় যাহা তোমারও বিস্ময় জন্মাইয়াছে। রাজা কহিলেন, বয়স্য! অধিক কি কহিব তাহার শরীর মনে করিলে মনে,এই উদয় হয় বুঝি বিধাতা প্রথমতঃ চিত্র পটে চিত্রিত করিয়া পরে জীবন দান করিয়াছেন; অথবা, মনে মনে মনোমত উপকরণসামগ্রীসকল সঙ্কলন করিয়া, মনে মনে অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলি যথা স্থানে বিন্যাস করিয়া, মনে মনেই তাহার শরীর নির্ম্মাণ করিয়াছেন; নতুবা হস্ত দ্বারা নির্ম্মাণ করিলে শরীরের সেরূপ কোমলতা ও