পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা
২৯

রূপ লাবণ্যের সেরপ মাধুরী সম্ভবিত না। ফলতঃ, ভাই রে, সে এক অলৌকিক স্ত্রীরত্নসৃষ্টি। মাধব্য কহিলেন বয়স্য! বুঝিলাম শকুন্তলা যাবতীয় রূপবতীদিগের পরাভবস্থান। রাজা কহিলেন তাহার রূপ, অনাঘ্রাত প্রফুল্ল পুষ্প স্বরূপ, নখাঘাত বর্জ্জিত নব পল্লব স্বরূপ, অপরিহিত নূতন রত্ন স্বরূপ, অনাস্বাদিত অভিনব মধু স্বরূপ,জন্মান্তরীণ পুণ্যরাশির অখণ্ড ফল স্বরূপ। জানিনা, কোন্ ভাগ্যবানের ভাগ্যে সেই নির্ম্মল রূপের ভোগ আছে।

 রাজার মুখে শকুন্তলার এই রূপ বর্ণনা শুনিয়া চমৎকৃত হইয়া মাধব্য কহিলেন বয়স্য তবে শীঘ্র শীঘ্র তাহার উদ্ধার কর; যেন এরূপ অসুলভরূপনিধান কন্যানিধান কোন অসভ্য তপস্বীর হস্তে পতিত না হয়। রাজা কহিলেন শকুন্তলা নিতান্ত পরাধীন। বিশেষতঃ কুলপতি কণ্ব এক্ষণে আশ্রম নাই। মাধব্য কহিলেন ভাল বয়স্য! জিজ্ঞাসা করি বল দেখি তোমার উপর তাহার অনুরাগ আছে কি না। রাজা কহিলেন বয়স্য! তপস্বিকন্যারা স্বভাবতঃ অপ্রগল্ভস্বভাবা তথাপি তাহার আকার ইঙ্গিতে আমার প্রতি তাহার অনুরাগের স্পষ্ট চিহ্ন লক্ষিত হইয়াছে। যত ক্ষণ আমার সম্মুখে ছিল আমার সহিত