পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
শকুন্তলা

কহিলেন সুন্দরি! শঙ্কা করিও না। এই বলিয়া শকুন্তলার নয়নে ফুৎকার প্রদান করিতে লাগিলেন।

 কিয়ৎক্ষণ পরে শকুন্তলা কহিলেন আর তোমার পরিশ্রম করিতে হইবেক না; আমার নয়ন পূর্ব্ববৎ হইয়াছে; আর কোন অসুখ নাই। মহারাজ! তুমি আমার এত উপকার করিলে, আমি তোমার কোন প্রত্যুপকার করিতে পারিলাম না। আমি অত্যন্ত লজ্জিত হইতেছি। রাজা কহিলেন সুন্দরি; আর কি প্রত্যুপকার চাই; আমি যে তোমার সুরভি মুখকমলের আঘ্রাণ পাইয়াছি তাহাই আমার পরিশ্রমের যথেষ্ট পুরস্কার হইয়াছে। দেখ মধুকর কেমলের আভ্রাণ মাত্রেই সন্তুষ্ট হইয়া থাকে। শকুন্তলা কহিলেন সন্তুষ্ট না হইয়াই কি করে।

 এইরূপ কৌতুক ও কথোপকথন হইতেছে, এমত সময়ে “চক্রবাকবধু! রজনী উপস্থিত; এই সময়ে চক্রবাককে সম্ভাষণ করিয়া লও” এই শব্দ শকুন্তলার কর্ণকুহরে প্রবিষ্ট হইল। তখন শকুন্তলা সাতিশয় শঙ্কিত হইয়া রাজাকে কহিলেন মহারাজ! আমার পিতৃম্বসা আর্য্যা গোতমী, আমার শারীরিক অসুস্থতা শুনিয়া, আমি কেমন আছি জানিতে আসিতেছেন। এই নিমিত্তই অনসূয়া ও প্রিয়ংবদা চক্রবাক চক্রবাকীচ্ছলে আমাদিগকে সাবধান