পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা
৫১

করিতেছে। অতএব তুমি সত্বর লতামণ্ডপ হইতে নিৰ্গত ও অন্তৰ্হিত হও। রাজা, ভাল আমি চলিলাম যেন পুনরায় দেখা হয়, এই বলিয়া লতাবিতানে ব্যবহিত হইয় শকুন্তলাকে নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন।

 কিয়ৎক্ষণ পরে, শান্তিজলপূর্ণ কমণ্ডলু হন্তে লইয়া, গোতমী লতামগুপে প্রবেশ করিলেন এবং শকুন্তলার শরীরে হস্ত প্রদান করিয়া কহিলেন বাছা! শুনিলাম আজি তোমার অত্যন্ত অসুখ হয়েছিল, এখন কেমন আছ, কিছু উপশম হয়েছে?। শকুন্তলা কহিলেন হাঁ পিসি! আজি বড় অসুখ, হয়েছিল; এখন অনেক ভাল আছি। তখন গোতমী, কমণ্ডলু হইতে শান্তিজল লইয়া শকুন্তলার সর্ব্ব শরীরে সেচন করিয়া, কহিলেন বাছা! সুস্থ শরীরে চিরজীবনী হইয়া থাক। অনন্তর লতামণ্ডপে অনসুয়া অথবা প্রিয়ংবদা কাহাকেও সন্নিহিত না দেখিয়া কহিলেন এই অসুখ তুমি একলা আছ বাছা, কেউ কাছে নাই। শকুন্তলা কহিলেন না পিসি! আমি একলা ছিলাম না; অনসূয়া ও প্রিয়ংবদা বরাবর আমার নিকটে ছিল; এই মাত্র মালিনীতে জল অনিতে গেল। তখন গোতমী কহিলেন বাছা! আর রোদ নাই, অপরাহ্ন হয়েছে এস কুটীরে যাই। শকুন্তল। অগত্য তাঁহার