পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা
৫৭

‘মহর্ষে! রাজা দুষ্মন্ত, মৃগয়া উপলক্ষে তোমার তপোবনে আসিয়া, শকুন্তলার পাণিগ্রহণ করিয়া গিয়াছেন এবং শকুন্তলাও তৎসহযোগে গর্ভবতী হইয়াছেন”। মহর্ষি, এই ৰূপে শকুন্তলাপরিণয় বৃত্তাস্ত অবগত হইয়া, তাহার অগোচরে ও সম্মতি ব্যতিরেকে সম্পন্ন হইয়াছে বলিয়া, কিঞ্চিন্মাত্রও রোষ বা অসন্তোষ প্রদর্শন করিলেন না। বরং যৎপরোনাস্তি প্রীত হইয়। কহিতে লাগিলেন আমার পরম সৌভাগ্য যে শকুন্তলা এতাদৃশ সৎপাত্রের হস্তগত হইয়াছে। অনন্তর শকুন্তলার নিকটে গিয়া সাতিশয় পরিতোষ প্রদর্শন করিয়া কহিলেন বৎসে! আমি তোমার পরিণয় বৃত্তান্ত অবগত হইয়া অনির্ব্বচনীয় প্রীতি প্রাপ্ত হইয়াছি; এবং অদ্যই, দুই শিষ্য ও গোতমীকে সমভিব্যাহারে দিয়া, তোমাকে ভর্তৃসন্নিধানে পাঠাইয়। দিতেছি। অনন্তর কণ্বের আদেশানুসারে শকুন্তলার প্রস্থানের উদ্যোগ হইতে আরম্ভ হইল।

 প্রস্থানসময় উপস্থিত হইল। গোতমী এবং শার্ঙ্গরব ও শারদ্বত নামে দুই শিষ্য শকুন্তলা সমভিব্যহারে গমনের নিমিত্ত প্রস্তুত হইলেন। অনসূয়া ও প্রিয়ংবদা যথাসম্ভব বেশ ভূষা সমাধান করিয়া দিলেন। মহর্ষি শোকাকুল হইয়। মনে মনে কহিতে লাগিলেন অদ্য