পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৮
শকুন্তলা

মহারাজের অধিকারে নির্ব্বিঘ্নে ও নিরাকুলচিত্তে তপস্যার অনুষ্ঠান করিতেছেন, সেই হেতু প্রীত হইয়া মহারাজকে সভাজন করিতে আসিয়াছেন।

 এবস্প্রকার কথোপকথন হইতেছে এমত সময়ে সোমরাত তপস্বীদিগকে সমভিব্যাহারে করিয়া উপস্থিত হইলেন। রাজা, দূর হইতে দেখিতে পাইয়া, আসন হইতে গাত্রোথান করিয়া তাঁহাদের আগমন প্রতীক্ষায় দণ্ডায়মান রহিলেন। তখন সোমরাত তপস্বীদিগকে কহিলেন ঐ দেখুন, সসাগরা সদ্বীপা ধরিত্রীর অদ্বিতীয় অধিপতি আসন পরিত্যাগ পূর্বক দণ্ডায়মান হইয়া আপনাদের প্রতীক্ষা করিতেছেন। শার্ঙ্গরব কহিলেন নরপতিদিগের এরূপ বিনয় ও সৌজন্য দেখিলে সাতিশয় প্রীত হইতে হয় ও অত্যন্ত প্রশংসা করিতে ও সাধুবাদ দিতে হয়; অথবা ইহার বিচিত্র কি-তরুগণ ফলিত হইলে ফল ভরে অবনত হইয়াই থাকে; বর্ষাকালীন জলধরগণ বারিভরে নম্রভাবই অবলম্বন করে; সৎপুরুষদিগেরও প্রথ। এই, সমৃদ্ধিশালী হইলে অনুদ্ধতস্বভাবই হয়েন।

 শকুন্তলার দক্ষিণাক্ষি স্পন্দন হইতে লাগিল। তিনি সাতিশয় শঙ্কিত হইয়া গোতমীকে কহিলেন পিসি!