পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা
৮৫

রাজার গোচর করি। রাজা সকল শুনিয়া যেমন অনুমতি করেন। এই বলিয়া নগরপাল অঙ্গুরীয় লইয়া রাজভবনে গমন করিল। কিয়ৎক্ষণ পরে প্রত্যাগত হইয়। চৌকীদারকে কহিল অরে! ত্বরায় ধীবরের বন্ধন খুলিয়া দে। এ চোর নয়। অঙ্গুরীয় প্রাপ্তি বিষয়ে যাহা কহিয়াছে তাহার কিছুই মিথ্য নহে। আর রাজা উহাকে অঙ্গুরীয়মূল্যের অনুৰূপ এই মহামুল্য পুরস্কার দিয়াছেন। এই বলিয়া পুরস্কার দিয়া ধীবরকে বিদায় করিল এবং চৌকীদারকে সঙ্গে লইয়া স্বস্থানে প্রস্থান করিল।

 এ দিকে, অঙ্গুরীয় হন্তে পতিত হইবামাত্র, শকুন্তলাবৃত্তান্ত আদ্যোপাস্তু রাজার স্মৃতিপথে আৰূঢ় হইল। তখন তিনি, নিতান্ত কাতর হইয়া, যৎপরোনাস্তি বিলাপ ও পরিতাপ করিতে লাগিলেন; এবং শকুন্তলার পুনর্দ্দর্শন বিষয়ে একান্ত হতাশ্বাস হইয়া সর্ব্ব বিষয়ে নিতান্ত নিরুৎসাহ হইলেন। আহার, বিহার ও রাজকার্য্যপর্য্যালোচনা একবারেই পরিত্যক্ত হইল। শকুন্তলার চিন্তায় একান্ত মগ্ন হইয়া সর্ব্বদাই ম্লানবদনে কাল যাপন করেন। কাহারও সহিত বাক্যালাপ করেন না। . কাহাকেও নিকটে আসিতে দেন না। কেবল প্রিয়বয়স্য মাধব্য সর্ব্বদ সমীপে উপবিষ্ট থাকেন। তিনি সান্তনা বাক্যে প্রবোধ দিতে আরম্ভ