পাতা:শকুন্তলা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮৭৫).pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তম পরিচ্ছেদ।
১০৫

কি পর্যন্ত আহ্লাদিত হইয়াছি, বলিতে পারি না। ভগবান্ কশ্যপও শুনিয়া সাতিশয় প্রীত হইয়াছেন। এক্ষণে গিয়া ভগবানের সহিত সাক্ষাৎ করুন। তিনি আপনকার প্রতীক্ষা করিতেছেন। তখন রাজা শকুন্তলাকে কহিলেন, প্রিয়ে! চল অজি উভয়ে এক সমভিব্যাহারে ভগবানের চরণদর্শন করিব। শকুন্তলা কহিলেন, আর্যপুত্র! ক্ষমা কর, আমি তোমার সঙ্গে গুরু জনের নিকটে যাইতে পারিব না। তখন রাজা কহিলেন, প্রিয়ে! শুভ সময়ে এক সমভিব্যাহারে গুরু জনের নিকটে যাওয়া দূষ্য নহে। চল, বিলম্ব করিয়া কাজ নাই।

 এই বলিয়া, রাজা শকুন্তলাকে সঙ্গে লইয়া, মাতলিসমভিব্যাহারে, কশ্যপের নিকট উপস্থিত হইলেন; দেখিলেন, ভগবান্ অদতির সহিত একাসনে বসিয়া আছেন। তখন সস্ত্রীক সাষ্টাঙ্গ প্রণিপাত করিয়া কৃতাঞ্জলিপুটে সম্মুখে দণ্ডায়মান রহিলেন। কশ্যপ, বৎস! চিরজীবী হইয়া, অপ্রহিত প্রভাবে অখণ্ড ভূমওলে একাধিপত্য কর, এই বলিয়া আশীর্বাদ করিলেন। অনন্তর শকুন্তলাকে কহিলেন, বৎস! তোমার স্বামী ইন্দ্রসদৃশ, পুত্র জয়ন্তসদৃশ; তোমায় অন্য আর কি আশীর্বাদ করিব; তুমি শচীসদৃশী হও। উভয়কে এই আশীর্বাদ করিয়া উপবেশন করিতে কহিলেন।

 সকলে উপবিষ্ট হইলে, রাজা কৃতাঞ্জলি হইয়া বিনপূর্ণ বচনে নিবেদন করিলেন, ভগবন্! শকুন্তলা আপনকার সগোত্র

১৪