পাতা:শকুন্তলা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮৭৫).pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
শকুন্তলা।

করিতে পারিব। রাজা কহিলেন, না হে না, আমি যা বলিব। এই বলিয়া, দৌবারিককে আহ্বান করিয়া, রাজা সেনাপতিকে আনয়ন করিতে আদেশ দিলেন।

 দৌবারিকমুখে রাজার আহ্বানবার্তা শ্রবণ করিয়া সেনাপতি অনতিবিলম্বে নৃপতিগোচরে উপস্থিত হইলেন, এবং মহারাজের জয় হউক বলিয়া, কৃতাঞ্জলিপুটে নিবেদন করিলেন, মহারাজ! সমুদয় উদ্যোগ হইয়াছে; আর অনর্থ কালহরণ করিতেছেন কেন, মৃগয়ায় চলুন। রাজা কহিলেন, আজি মাধব্য, মৃগয়ার দোষর্কীর্ত্তন করিয়া, আমায় নিরুৎসাহ করিয়াছে। সেনাপতি, রাজার অগোচরে, ইঙ্গিত দ্বারা মাধব্যকে কহিলেন, সখে! তুমি স্থিরপ্রতিজ্ঞ হইয়া থাক; আমি কিয়ৎ ক্ষণ প্রভুর চিত্তবৃত্তির অনুবর্ত্তন করি। অনন্তর, রাজাকে কহিলেন, মহারাজ! ও পাগলের কথা শুনেন কেন? ও কখন কি না বলে। মৃগয়া অপকারী কি উপকারী, মহারাজই বিবেচনা করুন না কেন। দেখুন, প্রথমতঃ, স্থূলতা ও জড়তা অপগত হইয়া, শরীর বিলক্ষণ পটু ও কর্ম্মণ্য হয়; ভয় জন্মিলে অথবা ক্রোধের উদয় হইলে, জন্তুগণের মনের গতি কিরূপ হয়, তাহা বারংবার প্রত্যক্ষ হইতে থাকে; আর চল লক্ষ্যে শরক্ষেপ করা অভ্যাস হইয়া আইসে; মহারাজ! যদি চল লক্ষ্যে শরক্ষেপ অব্যর্থ হয়, ধনুর্ধরের পক্ষে অধিক শ্লাঘার