পাতা:শকুন্তলা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮৭৫).pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭০
শকুন্তলা।

বতী কামিনী কে? কি নিমিত্তই বা ইনি তপস্বীদিগের সমভিব্যাহারে আসিয়াছেন? পার্শ্ববর্ত্তিনী পরিচারিকা কহিল, মহারাজ! আমিও দেখিয়া অবধি নানা বিতর্ক করিতেছি, কিন্তু কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না। যা হউক, মহারাজ! এরূপ রূপ লাবণ্যের মাধুরী কখনও কাহারও নয়নগোচর হয় নাই। রাজা কহিলেন, ও কথা ছাডিয়া দাও, পরস্ত্রীতে দৃষ্টিপাত বা পরস্ত্রীর কথা লইয়া আন্দোলন করা কর্তব্য নহে। এ দিকে, শকুন্তলা আপনার অস্থির হৃদয়কে এই বলিয়া সান্ত্বনা করিতে লাগিলেন, হৃদয়! এত আকুল হইতেছ কেন? আর্য্যপুত্রের তৎকালীন ভাব মনে করিয়া আশ্বাসিত হও, ও ধৈর্য্য অবলম্বন কর।

 তাপসেরা ক্রমে ক্রমে সন্নিহিত হইয়া, মহারাজের জয় হউক বলিয়া, হস্ত তুলিয়া, আশীর্বাদ করিলেন। রাজা প্রণাম করিয়া ঋষিদিগকে আসন পরিগ্রহ করিতে কহিলেন! অনন্তর সকলে উপবেশন করিলে, রাজা জিজ্ঞাসা করিলেন, কেমন, নির্বিঘ্নে তপস্যা সম্পন্ন হইতেছে? ঋষিরা কহিলেন, মহারাজ আপনি শাসনকর্তা থাকিতে, ধর্ম্মক্রিয়ার বিঘ্নসম্ভাবনা কোথায়? সূর্য্যদেবের উদয় হইলে কি অন্ধকারের আবির্ভাব হইতে পারে? রাজা শুনিয়া কৃতার্থম্মন্য হইয়া কহিলেন, অদ্য আমার রাজশব্দ সার্থক হইল। পরে, তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন