পাতা:শঙ্করাচার্য্য - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অঙ্ক । । }\లిన ^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^ru সত্য মূৰ্ত্তি মনোহর বিবেকী নয়নে, বাসনা জড়িত চিত করে বিচলিত । ] * ( উভয়ভারতীর প্রবেশ ) উভয় । কি মিশ্র মশায়, আমায় ছেড়ে যেতে চান—যাবেন, তার আর ভাব না কি ? কিন্তু আচাৰ্য্য আমায় না পরাজিত ক’বৃলে আমি ছেড়ে দোব না। আমার সহিত মাসান্তে বিচার করবেন ব’লেছিলেন । কিন্তু কই, এক মাসের অধিক তো অতীত হ’য়েছে। তবে আর কেন, এসো—যেমন ছিলুম, তেমনি থাকি । মগুন । আমার ইচ্ছা বটে, কিন্তু যেমন ছিলুম, তেমন আর থাকবার উপায় নাই। ইচ্ছা হয় আবার বিশ্বাস করি—সকলই সত্য, কিন্তু উপায় নাই । যখন স্থির চিন্তায় বসি, আচাৰ্য্যকে স্মরণ ক’রে চিন্তাপ্রবাহ যে কোথায় ষায়, তা নির্ণয় করতে আমি অক্ষম। আনন্দময় অসীম সাগরের আভাস যেন চক্ষে নিপতিত হয় । মনে হয় স্বৰ্গাদি তুচ্ছ কামনা ল’য়ে কি প্রকারে এতদিন কৰ্ম্মকাণ্ডে নিযুক্ত ছিলেম ! ভেবেছিলেম কৰ্ম্মই সৰ্ব্বস্ব, কিন্তু কেন—কিসের কৰ্ম্ম—আমার কৰ্ম্ম কি ? কিন্তু সেই মুহূৰ্ত্তে আবার তোমার কণ্ঠস্বর শুনতে পাই, তুমি আমার নয়নপথে পতিত হও। তখনি বাসনা বলে—“কেন, এই তো ভোগের সংসার, ভোগই মোক্ষ, অপর মোক্ষ কি ?” উভয় । অমন গম্ভীর হয়ে কথাবাৰ্ত্তা কইলে আমি কিন্তু তোমার কাছে থাকৃবো না । হায় রে, কি ভয়ই দেখালুম ! আমি চ’লে গেলে তো তুমি বঁাচে । মগুন । তোমার আজ এ কৌতুককলাপ কি নিমিত্ত ? দেখছি তোমার চিত্ত অতি প্রফুল্ল ; বোধ হয় আমার প্রতি দোষ দিয়ে তুমি ইচ্ছ ক’রেই চলে যেতে চাচ্চ । 1"