পাতা:শঙ্করাচার্য্য - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমাত্মা পরমপুরুষ তুমি দেব, তেমতি এ বহুভাবে মায়ায় প্রকট, কৃপা কর,নিরাশ্রয় জনে । শঙ্কর। হে বালক, তুমি জীবন্মুক্ত পুরুষ, করগত আমলকী ফলের ন্যায় ব্ৰহ্মতত্ত্ব তোমার হস্তগত । তুমি হস্তামলক নামে জগতে বিখ্যাত হও । তুমি বহু জন্ম তপস্যার ফলে সংস্কার-বৰ্জ্জিত। তুমি ব্ৰহ্মজ্ঞানী মহাপুরুষ, ব্রহ্মজ্ঞানে অবস্থান করে। ( প্রভাকরের প্রতি ) পণ্ডিতবর, প্রত্যক্ষ দেখলেন—আপনার পুত্র জড় নয়। আপনি গৃহী, এ অসঙ্গ পুত্র আপনার প্রয়োজন নাই। এ পুত্রসন্তান আমায় দান করুন। প্রভা-পত্নী। না না, আমার যেমন জড় ছেলে ছিল, সেই জড় ছেলে থাকুক, আমার ব্ৰহ্মজ্ঞানী ছেলে চাই না। আমি এ সন্তান তোমায় দেবো না,—আমার বাছা জড় হ’য়ে আমার ঘরে থাকুক। শঙ্কর। মা, কারে পুত্ৰ বল্‌ছ ? স্মরণ করে, তুমি তোমার শিশু পুত্ৰ ল’য়ে যমুনায় স্বান ক’বৃতে গিয়েছিলে, যমুনায় পতিত হয়ে তোমার শিশুর প্রাণবায়ু নির্গত হয়। এই সাধু তোমার রোদনে দয়ার্ডচিত্ত হ’য়ে তোমার শিশুর শরীরে প্রবেশ করেছেন। তুমি ভেবেছিলে, তোমার পুত্ৰ মূৰ্ছাপন্ন হয়েছিল,—তা নয়, তুমি এই মহাপুরুষকে গৃহে ল’য়ে এসেছ। পাছে সংস্কার স্পর্শ করে, সেই নিমিত্ত জড়ের ন্যায় ইনি অবস্থান ক’বৃতেন। এই সাধুর প্রভাবে এ প্রদেশ শান্তিপূর্ণ। মা, তোমার গৃহে নারায়ণ আছেন, পুত্রভাবে তার সেবা করে, যশোদার ন্যায় নারায়ণ-পুত্র লাভ ক’বৃবে।