পাতা:শঙ্করাচার্য্য - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় গর্ভাঙ্ক । পৰ্ব্বতোপরি কাপালিকের আশ্রমের নিকটবৰ্ত্তী বন। শঙ্করাচার্য্য । শঙ্কর। এ কোন স্থান ? প্রকৃতি যেন কোন পৈশাচিক শক্তিতে আচ্ছন্ন। তরুলতা মলিন, বিহঙ্গ রবহীন,—যেন অশাস্তির আবাসস্থান । - ( শাস্তিরামের প্রবেশ )

  • [ শাস্তি। প্রভু, আজ আপনাকে ছাড়বে না, আমার সকলের সাক্ষাতে জিজ্ঞাসা ক’বৃতে লজ্জা করে, সবাই হাসবে আর ব’ল্বে, এটা এত আহাম্মুখ । আজ এক্লা পেয়েছি, ছাড়বে না। আমার

বড় গোল বেধে গিয়েছে, আমি মেধাহীন—আমি কিছু বুঝতে পারি না । н শঙ্কর । কি বাপু, কি বুঝতে পারো না ?. শাস্তি। এই প্রভু বলেন,—অদ্বিতীয়, অসঙ্গ, অখণ্ড, সচ্চিদানন্দ এক ব্ৰহ্মই বিদ্যমান—আর সকলই মায়। আর দেবদেবী, নোড়ামুড়ি য। যেখানে দেখেন, অম্নি ছন্দেবন্দে স্তবরচনা করেন। গঙ্গা, নৰ্ম্মদ প্রভূতি যে যেখানে নদী আছে, এমন কি ডোবা-নালা বাদ যায় না, তার তো স্তব আওড়ান,—সকলকেই তো মুক্তিদাতা বলেন । কিন্তু বৈষ্ণব এলে তাকেও থ ক’রে দিচ্চেন, শৈব এলেও তাই, শাক্ত এলেও তাই,—যেথায় যে উপাসক আছে, খুজে খুজে গিয়ে তো তাদের পরাস্ত করেন। এর কোনটা ঠিক আর কোনটা অঠিক, আমি বুঝবো । বলুন ?