পাতা:শঙ্করাচার্য্য - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অঙ্ক { Տ ՋԳ துவாக கயவாகவ ங் নহ। বাবা, আমি বল্পেও তো বুঝতে পারবে না। তোমার বিষাত৷ মরেছে, আমি যে দিন মরবো— সেই দিন চিনবে । [ প্রস্থান । গণ। তাই তো–তাই তো, আমি যেন আর এক রকম সব দেখছি ! আমি নিদ্রিত না জাগরিত ! আমি কোথায়, আমার শরীর কি হ’লে ! এ সব কি ? গুরুদেব—গুরুদেব-~চরণে স্থান দাও ! ]* ( মগুনমিশ্র ও সনন্দনের প্রবেশ ) সনন্দন । অদ্যাবধি ভারতবর্ষের সমস্ত পণ্ডিতমণ্ডলীকে পরাজর ক’রে বাগ দেবীর সিংহাসনে উপবেশন করতে কেহই সক্ষম হন নাই । গুরুদেব যখন সমস্ত পণ্ডিতমণ্ডলীকে পরাজয় করলেন,—অকস্মাৎ দৈববাণী হ’লে—“বৎস, আমার আসনে উপবেশন করুবার তুমিই ৷ একমাত্র যোগ্য । আমার আজ্ঞায় আসন গ্ৰহণ ক’রে ভারতবর্ষে 'সৰ্ব্বজ্ঞ’ নামে প্রচারিত হও ।” ভাই সুরেশ্বর, সমস্ত ভারতে অদ্বৈতমত স্থাপিত, পুণ্যভূমি জ্ঞানস্থৰ্য্যে আলোকিত । ভাই, তুমি আনন্দ সংবাদে দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করলে কেন ? মণ্ডন । শুন ভাই, অন্তর বিকল কিবা হেতু । তুষার-আবৃত ঘোর পর্বত প্রদেশে, নিত্য রজনীতে— বামাকণ্ঠে কেবা করে সকরুণ গান ? যেন কোন নারী বিরহবিধুর, মনোব্যথা কহে এই জনশূন্ত স্থানে ! দেখ দেখ’ নারীমুক্তি কে অগ্ৰগামিনী ? সনন্দন । হ’তেছে স্মরণ, পূৰ্ব্বে যেন এই মুক্তি করেছি দর্শন।