পাতা:শঙ্করাচার্য্য - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विउँौग्न छाक । 《 ( শঙ্করাচাৰ্য্য, ব্যাস ও সনন্দনের পুনঃ প্রবেশ ) ব্যাস । ভাল ভাল—মধ্যাহ্ন-সন্ধ্য সমাণ্ডে আবায় আমাদের তর্ক হবে। তুমি সুপণ্ডিত বট, তোমার তর্কশক্তি অতি প্রখর। আমি তোমার প্রতি পরম সন্তুষ্ট হ’য়েছি। তোমার সহিত তর্ক ক’রে পরম আনন্দলাভ হ’য়েছে। এইবার দেখবো –তুমি কিরূপ উত্তর প্রদান করো। শঙ্কর । প্রভু, আপনি আনন্দলাভ ক’রেছেন, এ অপেক্ষ দাসের ভাগ্যপ্রসন্নতার অধিক পরিচয় আর নাই । আমার ভাষ্যে যদি দোষ থাকে, আপনার দ্বারাই সে দোষ সংশোধিত হবার সম্ভাবনা । ব্যাস । হ্যা হ্যা—তুমি খুব সাবধানী তার্কিক, এইবার তর্কে তোমার সতর্কতা বুঝবো । সম্বন্দন। আপনাদের শ্ৰীচরণে প্রণাম পূৰ্ব্বক দাসের নিবেদন, হরিহরের বাদানুবাদ তো কোটীকল্পে অবসান হবে না। গুরুদেব, যদিচ আমি অজ্ঞান, আপনার কৃপায় আমি যেরূপ দৃষ্টিলাভ করেছি, তাতে আমার অনুযান-ইনি স্বয়ং ব্যাসদেব—সাক্ষাৎ নারায়ণ, আর শঙ্করাচার্য্য—সাক্ষাৎ শঙ্কর । “শঙ্করঃ শঙ্করঃ সাক্ষাৎ ব্যাসে৷ নারায়ণঃ স্বয়ং’ আমি উভয়ের চরণে সাষ্ট্রাঙ্গে প্ৰণিপাত করি । আপনাদের উভয়ের বিবাদ, এস্থলে আমাদের কি কৰ্ত্তব্য আজ্ঞা করুন । শঙ্কর । বৎস পদ্মপাদ, তুমিই ধন্য! আমি অজ্ঞ—বুঝতে পারি নাই, ইনি ব্যাসরূপী স্বয়ং নারায়ণ নিশ্চয় । হে লোকপালক, হে স্থিতিকর্তা নারায়ণ, আপনি ঋষিরূপ ধারণ ক’রে অষ্টাদশ পুরাণ প্রণয়ণ ক’রেছেন, বেদ বিভাগ ক’রেছেন, ভারতসাগর নিৰ্ম্মাণ ক’রেছেন। এ মহৎ কীৰ্ত্তি—আপনাতেই সস্তব ; আপনার বেদস্থত্রের ভাষ্য