পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (অষ্টম সম্ভার).djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুভদ। জাসিয়া সদানন্দকে ডাকিয়া বলিলেন, সদানন্দবাবু, আজ বেশ সাবধানে থাকবেন ; ছেলেটি বোধ হয় আজ রাত্রে বঁচিবে না । . সদানন্দও তাহা জানিত। অনেক রাত্রে হারাণচন্দ্র ফিরিয়া আসিলেন, চোরের ন্যায় কক্ষের বাহিরে দাড়াইয়া ভিতরের বৃত্তান্ত যতটা সম্ভব অবগত হইলেন, তাহার পর দ্বার ঈষৎ খুলিয়া মুখ বাড়াইয়া বলিলেন, এখন কেমন আছে ? কেহ কথা কহিল না। শুধু শুভদা বাহির হইয়া আসিল ; থাবার থালা সম্মুখে রক্ষা করিয়া নিকটে বসিল । হারাণ বলিলেন, মধু এখন কেমন ? বোধ হয় ভাল নয় । ভাল নয়? একটু থামিয়া বলিলেন, আমার শরীরও ভাল নয় । কি ভাবিয়া তিনি যে একথা বললেন, কি মনে করিয়া যে তিনি নিজের অসুস্থতার কথা উল্লেখ করি:লন তাহা বলিতে পারি না এবং ইহাতে ম্যাসত্য কতদূর ছিল তাহাও অবগত নহি–কিন্তু একথা শুভদার কানে প্রবেশ করিল না । হারাণচন্দ্র মনে মনে বড় ক্ষুন্ন হইলেন ; স্ত্রীর নিকট শারীরিক অসুস্থতার কথা কহিয়া তাহার একটা স্নেহময় প্রত্যুত্তর না পাওয়া, তাহার নিকট এরূপ অস্বাভাবিক বোধ হইল যে, হারাণচন্দ্র আপনাকে যথেষ্ট অপমানিত মনে করিলেন । তিনি নেশা করিয়া আসিয়াছিলেন, তাই সেই সামান্ত অপমানাঙ্কুর দুই-চারি মুহূর্কের মধ্যেই মস্তিষ্কের ভিতর বেশ ডালপালা ছড়াইয়। দিল । হারাণচন্দ্র বিরক্তভাবে থালা ঠেলিয়া দিয়া কহিলেন, আর খাব ন!—শেধে কি মরে যাব ? হারাণচন্দ্র উঠিয়া আসিয়া আচমন করিয়া নিদিষ্ট কক্ষে শয্যায় যথারীতি শয়ন করিলেন ; মনে মনে বোধ হয় স্থির করিয়া লইলেন যে, তাহারও যথেষ্ট অমুখ হইয়াছে। এদিকে শুভদা হাত ধুইয়া মাধবের নিকটে আপিয়া বসিল দেখিয়া কৃষ্ণঠাকুরাণী বলিঙ্গেন, হারাণ কোথায় ? & র্তার শরীর অসুস্থ হয়েচে–গুয়েছেন । কৃষ্ণঠাকুরাণী একটু মৌন হুইয়া রহিলেন ; তাহার পর মৃদু মৃদ্ধ বলিলেন, মাহধের মায়া-দয়া থাকে না, কিন্তু চক্ষুলজ্জাও ত একটু থাকতে হয় । রাসমণি একথা শুনিয়া ওষ্ঠ কুঞ্চিত করিলেন । ক্রমে রাত্রি অধিক হইতে লাগিল। কৃষ্ণঠাকুরণী অনেক মুম্যুর পার্থে রাত্রি অতিবাহিত করিয়াছিলেন, অনেক মৃত্যু দেখিয়াছিলেন, তাহার বোধ হইল, । মাধবের অল্প শ্বাস হইয়াছে । কিছুক্ষণ পরে মাধব কহিয়া উঠিল, বড় মাথা १८द्भक ! د قوم «