শুভদা করিয়া বসিয়াছে । গর্জাইতে গর্জাইতে তখন জয়ার মা বাগানবাটীতে প্রবেশ করিল। যে দাসী সম্মুখে পড়িল তাহার পানে ক্রোধকম্বায়িত নয়নে চাহিয়া বলিল, সে ডাইনি কোথা ? সে বেচারা নূতন লোক, ভয়ে ভয়ে পিছাইয়া বলিল, ঐ হোথা । সে যেমন প্রশ্ন করিয়াছিল, তেমনি উত্তর পাইল। সেও প্রশ্নের অর্থ বুঝিতে পারে নাই, জয়ার মাও উত্তরের অর্থ বুঝিতে পারিল না। আর একবার তাহার পানে সেইরূপ চাহিয়া বলিল, কোথা ? সে অঙ্গুলি হেলাইয়া যথেচ্ছ একটা দিক দেখাইয়া দিয়া সরিয়া পড়িল । জয়ার মা সিড়ি বাহিয়া উপরে উঠিল। সেখানে কক্ষে কক্ষে ঘুরিয়া বেড়াইতে লাগিল—কাহারও সহিত সাক্ষাৎ হয় না । কিন্তু এ কি শোভা ! কি আসবাব, কি বহুমূল্য সাজ-সজ্জা ! সে পূৰ্ব্বে স্বরেন্দ্রবাবুর বাটতে অনেকদিন ছিল, সেখানে বহু দ্রব্য দেখিয়াছে, কিন্তু এমন কখনও দেখে নাই। যত দেখিতে লাগিল, তত ক্রুদ্ধ সপের মত ফোস ফোস করিতে লাগিল। তাহার মনে হইতে লাগিল, এ সমস্তই জয়াবতীর হইত, আর সেভাবে--হয়ত কোন সময়ে তাহারই বা হইতে পারিত না কি ? এইরূপে মনে মনে তর্ক-বিতর্ক করিতে করিতে সে একটা কক্ষে একজন স্ত্রীলোকের দেখা পাইল। পশ্চাৎ হইতে তাহাকে দেখিয়া জয়ার মা একজন পরিচারিকা স্থির করিল ; ডাকিয়া কহিল, ওলো, তোদের গিন্নী কোথায় ? অস্বাভাবিক কর্কশবচনে সে ফিরিয়া চাহিল। জয়ার মা দেখিল তাহার সামান্ত বস্ত্র, গায়ে অলঙ্কারের নামমাত্র নাই, মুখ দেখিয়া থমকিয় দাড়াইল ; কর্কশ কণ্ঠস্বর নরম হইয়া আসিল ; বলিল, তুমি কে গা ? আমি এইখানে থাকি । তুমি কতদিন এসেচ ? প্রায় একমাসের কিছু অধিক । তোমাদের গিল্পী কোথায় ? তুমি বুঝি তারি সঙ্গে এসেচ ? স্ত্রীলোকটা মাথা নাড়িয়া বলিল, তার সঙ্গে কিছু প্রয়োজন আছে কি ? প্রয়োজন আমার ঢের আছে। সেই ডাইনি হারামজাদীর মুণ্ডুটা আজ চিবিয়ে খাব । বলিতে বলিতে তাহার সেই পূৰ্ব্বভাব, সেই রুক্ষ মুখশ্ৰী, সেই অমান্থধিক চোখের ভাব সমস্তই ফিরিয়া আসিল—জানিস আমি কে ? আমি জয়ার মা, আমাকে দেশস্থদ্ধ চেনে। হারামজাদী ডাইনী আমার মেয়েকে খেয়েচে—আজ আমি তাকে খাব—খাব—( দন্তে দন্তে ঘর্ষণ ) খাব-খাব-খাব—সব শেষ করে তবে যাব । স্ত্রীলোকটি রুদ্ধশ্বাসে সে আলৌকিক ভঙ্গি দেখিতে লাগিল । ওরে হারামজাদী তোকে খাব ( বক্ষে চপেটাঘাত )—ওরে আবাগি—শতেক খোয়ারি—ছেনাল-ডাইনি (মস্তকের কেশাকর্ষণ) তোকে খাব—তোকে খাব— 》及波 وفد س* یا
