পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (অষ্টম সম্ভার).djvu/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cभखज़िंग्नि উমা ফিরিয়া দাড়াইয়া কহিল, ন খুব নয়, একটু। च्यांव्हाँ छूहे यां । উমা কপাটের কাছে আসিয়াই বলিয়া উঠিল, মা, এই যে কেইমামা দাড়িয়ে ब्रट्ज़रछ । কেষ্ট শুনিতে পাইল। বোধ করি ইহাকে অভ্যর্থনা মনে করিয়া মুখ বাড়াইয়া সলজ হালি হাসিয়া কহিল, কেমন আছ মেজদি ? ক্ষোভে, দুঃখে, অভিমানে হেমাঙ্গিনী ক্ষিপ্তবং চীৎকার করিয়া উঠিলেন—কেন এসেচিদ এখানে ? যা, যা বলচি শীগগির। দূর হী বলচি– কেষ্ট মূঢ়ের মত ফ্যাল ফ্যাল করিয়া চাহিয়া রহিল—হেমাঙ্গিনী অধিকতর তীক্ষ তীব্ৰকণ্ঠে বলিলেন, তবু দাড়িয়ে রইলি হতভাগা—গেলিনে ? কেই মুখ নামাইয়া শুধু ‘যাচ্ছি বলিয়াই চলিয়া গেল। সে চলিয়া গেলে হেমাঙ্গিনী নিজীবের মত বিছানার একধারে শুইয়া পড়িয়া অস্ফুটে ক্রুদ্ধস্বরে বলিয়া উঠিলেন, একশবার বলি হতভাগাকে, আসিসনে আমার কাছে—তবু 'মেজদি । শিবুকে বলে দিস্ত উমা, ওকে না আর ঢুকতে দেয়। - উমা জবাব দিল না । ধীরে ধীরে বাহির হইয়া গেল । রাত্রে হেমাঙ্গিনী স্বামীকে ডাকাইয়া আনিয়া কঁাদ কঁাদ গলায় বলিলেন, কোনদিন ত তোমার কাছে কিছু চাইনি—আজ এই অসুখের উপর একটা ভিক্ষা চাইচি, দেবে ? - বিপিন সন্দিগ্ধ-কণ্ঠে প্রশ্ন করিলেন, কি চাই ? হেমাঙ্গিনী বলিলেন, কেষ্টকে আমাকে দাও—ও বেচারি বড় দুঃখী—মা-বাপ নেই – ওকে ওরা মেরে ফেলচে,– এ আর আমি চোখে দেখতে পায়চিনে । বিপিন যুদ্ধ হাসিয়া বলিলেন, তা হলে চোখ বুজে থাকলেই ত হয়। স্বামীর এই নিষ্ঠুর বিরূপ হেমাদিনীকে শূল দিয়া বিধিল, অন্য কোন অবস্থায় তিনি ইহা সহিতে পারিতেন না, কিন্তু আজ নাকি তাহার দুঃখে প্রাণ বাহির হইতেছিল, তাই সহ করিয়া লইয়া হাত জোড় করিয়া বলিলেন, তোমার দিবি করে বলচি, ওকে আমি পেটের ছেলের মত ভালবেসেচি। দী ও আমাকে—মানুষ করি—খাওয়াই-পয়াই— তার পরে যা ইচ্ছে হয় তোমাদের তাই ক’রো। বড় হলে আমি একটি কথাও কবো না । বিপিন একটুখানি নরম হইয়া বলিলেন, ও কি আমার গোলার ধান-চাল ষে তোমাকে এনে দেব ? পরের ভাই, পরের বাড়ি এসেচে ; তোমার মাঝখানে পড়ে ७ष्ठ कच्चश किरणग्न जाना ? ●: