পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (অষ্টম সম্ভার).djvu/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ আমার কাছেই তুমি মানুষ হয়েছিলে। হঁ, গুণি, তোর সইমাকে মনে পড়ে न!।। ८ञ्च ? গুণেন্দ্র তৎক্ষণাৎ মাটিতে মাথা ঠেকাইয়া প্রণাম করিয়া পায়ের ধূলা মাথায় তুলিয়া উঠিয়া দাড়াইয়া বলিল, ই, মা ! তুমি ? স্থলোচনা হাত বাড়াইয়া তাহার চিবুক স্পর্শ করিয়া নিজের অঙ্গুলির প্রান্তভাগ চুম্বন করিয়া বলিলেন, ই বাবা, আমিই । গুণেন্দ্র একখান চৌকি টানিয়া বলিল, ৰ’সে মা ! স্বলোচনা হাসিয়া বলিলেন, যখন তোর আশ্রয়ে এসেছি তখন বসব বৈ কি ! ই রে, তুই এখনো বিয়ে করিসূনি ? এবার গুণেন্দ্র হাসিয়া বলিল, এখনো ত সময় হয়ে ওঠেনি । স্বলোচনা বলিলেন, এইবার হবে । বাড়িতে কি কেউ মেয়েমাচুধ নেই ? নী । রাধে কে ? একজন বামুন আছে । মলোচনা বলিলেন, বামুনের আর দরকার নেই, এখন থেকে আমি রাধব । আচ্ছা, সে পরে হবে । আমার আরো দু-চারটে কথা আছে, সেইগুলো বলে নি । আমার স্বামীর এখানকার কাজ যাবার পরে আমরা বাড়ি চলে যাই । হাতে কিছু টাকা তখন ছিল, দেশেও কিছু জমি-জমা ছিল । এতেই একরকম স্বচ্ছন্দে দিন কাটছিল। তার পর গত বৎসর তাকে যক্ষ্মরোগে ধরে । চিকিৎসার খরচে একেবারে সর্বশ্বাস্ত করে তিনি মাসখানেক পূৰ্ব্বে স্বর্গে গেলেন। এখন অনাথাকে দুটি খেতে দিবি এই প্রার্থন । তার চোখ দিয়া টপ টপ করিয়া জল ঝরিয়া পড়িতে লাগিল। গুণেন্দ্রর চোথও ছল ছল করিয়া উঠিল। সে কাতর হইয়া বলিল, মাকে মানুষে খেতে দেয় না, তুমি কি এই কথা মনে ভেবে এখানে এসেছ মা ? মুলোচনা আঁচল দিয়া চোখের জল মুছিয়া বলিলেন, না বাবা, সে-কথা মনে ভেবে আসিনি। তা হলে এত দুঃখেও বোধ হয় আসতাম না । তোকে ছোটটি দেখে গেচি, আজ বার বছর পরে দুঃখের দিনে যখন মনে পড়েচে, কোন শঙ্কা না করেই চলে এসেচ । তা ছাড়া আর একটি কথা আছে ; আমার মেয়ে হেমনলিনী – সে তোরই বোন—সে আবার আমার চেয়ে অনাথা । বিয়ের বয়স হয়েচে, কিন্তু বিয়ে দিতে পারিনি। তার উপায় তোকে করে দিতে হবে। গুণেন্দ্র বলিল, তাকে কেন সঙ্গে আননি মা ? স্থলোচনা বললেন, এনেচি। কিন্তু সে বড় অভিমানিনী। পাছে এসব কথা ૨ષ કr