পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (অষ্টম সম্ভার).djvu/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথ-নির্দেশ হেম বলিল, সে গুরুতে আমার কাজ নেই, আমি তোমার কাছ থেকে দীক্ষা নেব । eनै भ*६ ३३श्च वलिज, जांभांब्र कtइ ५९एक औच (मtव ? चाभि शैचfब कि জানি হেম ? তা ছাড়, তোমরা হিন্দু, আমি ব্রাহ্ম। • হেম বলিল, আমি সে জানিনে। মা বলেছিলেন, তোমার মা ধৰ্ম্ম আমারও তাই ধৰ্ম্ম । আচ্ছা গুণীদ্বা, এ-কথার অর্থ কি ? এ-কথার কি অর্থ গুণী তাহা জানিত । তাহা না বলিয়া সহজভাবে সে বলিল, বোধ করি তিনি বলছিলেন, সব ধৰ্ম্মই এক । হেম বলিল, কিন্তু সব ধৰ্ম্ম ত এক নয়। গুণী ক্ষণকাল নীরব থাকিয়া বলিল, এ-সব আলোচনা আমি কখনো পরের সঙ্গে করিনে । হেম বলিল, কিন্তু আমি ত তোমার পর নই। গুণী প্রত্যুত্তরে বলিয়া উঠিল, না, তুমি আমার পরমাত্মীয়, কিন্তু তোমার সঙ্গেও আমি এ-সমস্ত চর্চা করব না। হেম হতাশভাবে নিশ্বাস ফেলিয়া বলিল, যদি বলবে না তবে আর আমি কি করে শুনব ? গুণী তাহার মুখ দেখিয়া অমৃতপ্ত হইয়া বলিল, তুমি কি শুনতে চাও? হেম বলিল, গুণীরা, যেদিন আমি জোর করে তোমার পাতে বসে খেয়েছিলাম,তুমি পেদিন নিষেধ করে বলেছিলে, কাজটা ভাল করনি, যার যা জাত তাই মেনে চলা উচিত, আজ বলছ সব ধৰ্ম্মই এক—কোনটা সত্যি ? গুণী কহিল, সেদিন আমি সাধারণভাবেই বলেছিলাম। তবুও দুটো কথাই সত্য। জাত আর ধৰ্ম্ম এক জিনিস নয়। একটা দেশাচার, লোকাচার, শুধুমাত্র ইহকালের বস্তু। কিন্তু অপরটা ইহকাল, পরকাল দুই কালেরই বস্তু। কিন্তু তাই বলে ধৰ্ম্ম মেনে চললেই ধে জাত মেনে চলা হয়, তাও না ; আবার জাত মেনে চললেই যে ধৰ্ম্ম মানা হয়, তাও নয়। জাত না মেনে চলার দুঃখ আছে, সবাই সে দুঃখ সইতে পারে না, পারার প্রয়োজনও সব সময়ে হয় না-তাই তোমাকে আমি সেদিন ও-কথা বলেছিলাম। কিছুক্ষণ মৌন থাকিয়া বলিল, হেম, এ দুটো জালাদ, এথচ মিশে আছে। মিশে আছে বলেই দেশভেদের সঙ্গে ধর্থেরও নানা ভেদ হয়ে গেছে। ধর্থের যেটা গোড়ার কথা সেটা পরকালের কথা, মরণই শেষ নয় এই কথা । এই বনিয়াদের ওপর তুমি হিন্দু, তুমিও দাড়িয়ে আছে, আমি ব্রাঙ্ক, আমিও দাড়িয়ে আছি। ঈশ্বরকেও সকল ধৰ্ম্মে হয়ত মানে না, কিন্তু মরণ হলেই যে নিষ্কৃতি পাবার জো নেই, এ কথাটা নিগ্রোদের দেশ থেকে ল্যাপল্যাণ্ডের ম্বেশ পৰ্য্যস্ত সকল দেশের ধৰ্ম্মই স্বীকার করে। মৃত্যুর পরের ভাবনা তাই তুমিও ভাব, আমিও Հեք