পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (অষ্টম সম্ভার).djvu/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাগ্য-বিড়ম্বিত লেখক-সম্প্রদায় সেদিন গুনে দেখলাম—সত্যিকার সাধন ধারা করেন, সাহিত্য ৰাজের গুৰু বিলাস নয়, সাহিত্য ধাদের জীবনে একমাত্র ব্রত, বাংলাদেশে তার ক'জনই বা, সংখ্যা আঙুলে গোনা যায়। এইসব সাহিত্যসেবী অক্লাস্ত পরিশ্রম করে অনাহারে অনিদ্রায় দেশের জন্ত দশের জষ্ঠ সাহিত্য-স্বষ্টি করেন, সে সাহিত্য গুনেচি না কি জন-সমাজের কল্যাণ করে, কিন্তু তার কি মূল্য আমরা দিয়ে থাকি ? - এই ষে সব সাহিত্যিক দেশের জন্য প্রাণপণ করেচেন, তাদের পুরস্কার হয়েচে গুৰু লাঞ্ছনা আর দারিদ্র্য। প্রভূত ধন-সম্পত্তি অর্জন করে বিত্তশালী ধনবান হতে তার চান না, তারা চান শুধু একটুখানি স্বচ্ছন জীবন, সৰ্ব্বনাশা দারিত্র্যের নিদারুণ অভিশাপ থেকে মুক্তি, তারা চান শুধু নিশ্চিত নির্ভাবনায় লিখবার মত একটুখানি অমুকুল আবহাওয়া, অথচ তারা তাও পান না। আজীবন শুধু ভাগ্য-বিড়ম্বিত হয়েই তাদের কাটাতে হয়, যাদের কল্যাণ-কামনায় তারা জীবন উৎসর্গ করলে তারা একবার সেদিকে ফিরেও তাকায় না । দেশের লোক তাদের দেয় না কিছু, অথচ, তাদের কাছে থেকে চায় অনেক। কোথাও কেউ দি এতটুকু খারাপ লেখা লিখেচে, অমনি তীব্র সমালোচনার বিষে আর নিষ্কার তীক্ষ শরে তাকে জর্জরিত হতে হয়। এই অতিনিন্দ্বিত গল্প-লেখকদের দৈন্তের সীমা নেই। এদের লেখা পড়ে জনসাধারণ আনন্দ লাভ করে সত্য, কিন্তু তাদের ঘরের খবর নিতে গেলে দেখতে পাবেন—এইসব লেখক-সম্প্রদায় কত নিঃস্ব, কত অসহায় । অনেকেরই উপন্যাসের হয়ত দ্বিতীয় ज९कब्र* इब्र नीं । কিন্তু কেন ? এর একমাত্র কারণ, আমাদের দেশের লোক বই পড়েন বটে, কিন্তু পরসা খরচ করে কিনে পড়েন না। এমন কথা হয়ত উঠতে পারে যে, আমাদের দেশের জনসাধারণ দরিদ্র, বই কেনবার সামর্থ্য তাদের নেই। কিন্তু সামর্থ্য ধাদের আছে, এমন অনেক বড়লোকের বাড়িতে আমি নিজে গেছি। গিয়ে দেখেচি, তাদের আছে সবই, গাড়ি আছে, বাড়ি আছে, বিলাস-ব্যসনের সহস্ৰ উপকরণ আছে, নেই কেৰল বই। পয়সা খরচ করে বই কেনা তাদের অনেকের কাছেই অপব্যয় ছাড়া আর কিছু নয়। অথচ গল্প-লেখকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আর অন্ত নেই । লম্প্রতি একটা কৰা