পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র-সঙ্কলন সামতবেড়, ৩০শে বৈশাখ, ১৩৩৮ কল্যাণীয়েষ্ণু-মন্ট, দেশোদ্ধার করবার জন্তে স্বভাষের দল আমাকে বলপূর্বক কুমিল্লায় চালান করে দিয়েছিল। পথে এক দল শেম শেষ বললে, গাড়ির জানালার ফাক দিয়ে কয়লার গুড়ো মাথায় গায়ে ছড়িয়ে দিয়ে প্রীতি জ্ঞাপন করলে, আবার একদল বারো-ঘোড়ার গাড়ি চাপিয়ে দেড় মাইল লম্ব শোভাযাত্রা ক’রে জানিয়ে দিলে কয়লার গুড়োটা কিছুই নয়,—ও মায়া? যাই হোক রূপনারায়ণের *to stato for soft “The liberated man has no personal hopes” —এর সত্য উপলব্ধি করতে আমার বাকী নেই। জয় হোক কয়লার গুড়োর। জয় হোক বারো-ঘোড়ার গাড়ির । শেষপ্রশ্ন পড়ে খুশী হয়েছে শুনে ভারী আনন্দ পেলাম। কারণ, খুশী হবার তো আমাদের নিয়ম নয়। প্রবর্তক-সঙ্ঘ এবছর অক্ষয় তৃতীয়ায় আমাকে আর ডাকলে না। তারা অনুরোধ করেছিল বইয়ের মধ্যে শেষের দিকে যেন আশ্রমের জয় গান করতে পারি। অথচ স্পষ্টই দেখা গেল পেরে উঠিনি। শেষ প্রশ্নে অতি আধুনিক-সাহিত্য কি রকম হওয়া উচিত তারই একটুখানি আভাস দেবার চেষ্টা করেচি। “খুব করবো, গর্জন করে নোঙর কথাই লিখবে৷” এই মনোভাবটাই অতি-আধুনিক-সাহিত্যের central pivot নয়—এরই একটু নমুনা দেওয়া । কিন্তু বুড়ো হয়ে গেছি, শক্তি-সামর্থ্য । পশ্চিমে ঢ’লে পড়েছে—এখন তোমাদের ওপরেই রইলো এর দায়িত্ব । তোমার সমস্ত লেখাই আমি মনোযোগের সঙ্গে পড়ি, রবীন্দ্রনাথ তোমার সম্বন্ধে যে-কথা চিঠিতে লিখেছেন সে সত্য। দ্রুত উন্নতি স্পষ্টই চোখে পড়ে। কিন্তু সে বাইরে থেকে কারও কুপায় নয়,—তোমার নিজেরই সত্য সাধনায় । এবং রক্তের মধ্যে উত্তরাধিকারস্থত্রে যা পেয়েছিলে তারই ফল । পণ্ডিচেরীতে না থেকে কলকাতায় ব’লেও ঠিক এমনি হ’তে পারতে । তুমি লিখেছিলে যে অরবিন্দ বলেন আমরা intellectual যুগের সন্তান । এ খুবই সত্যি । তোমার লেখার মধ্যে এই সত্যের অনেকখানি প্রকাশ ক্রমশঃ উজ্জলতর হয়ে উঠেচে, কিন্তু এখনই হল তোমার সাবধান হবার সময় । Dialogue ছোট হওয়া চাই, মিষ্টি হওয়া চাই—কিছুতেই না মনে হয় এ প্রয়োজনের to so