পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

אtsiה ifeה-אח* ৰাড়ি ভাড়া করিয়া কাছাকাছি ছিলেন বলিয়া উভয় পরিবারে অতিশয় ঘনিষ্ঠতা জন্মিয়াছিল । স্বরবালার বিবাহের সম্বন্ধ মহেশ্বরীই স্থির করিয়াছিলেন। মহেশ্বরী ক্ষণকাল উপেজর মুখপানে চাহিয়া বলিলেন, পশু কি বলে ? সে বলে, শচী একটু খোড়া । মহেশ্বরী ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন, খোড়া নয়, তার ছেলেবেলায় অস্ত্র হবার দরুণ বা পাট একটু টেনে চলত তা এতদিনে বোধ করি সেরে গেছে। আর দোষ নেই ত ? न ! - শুনি ত শ্বশুরমশায়ের অগাধ সম্পত্তি—তোমার কি মনে হয় দিদি ? আমারও ত তাই মনে হয় । , উপেন্দ্র তখন আরও একটু কাছে সরিয়া আসিয়া গল খাটো করিয়া বলিল, তবে তোমাকে একটা কথা বলি দিদি । শচীরা দুই বোনেই যখন ভবিস্তুতে সমস্ত সম্পত্তির অধিকারিণী হবে, তখন এত বিষয় বে-হাত হতে দেওয়া ত স্ববুদ্ধির কাজ নয় । মহেশ্বরী হাসিমুখে বলিলেন, তা ত নয় ; কিন্তু উপায়টা কি শুনি ? বলিয়াই হাসিয়া ফেলিলেন । উপেন্দ্রও হাসিয়া বলিল, হাসি নয় দিদি । পত্তকেও ক্ষ্যাপাবার জন্তে এ-কথা বলিনি। অামি দিবার কথা মনে করেচি । শুনিবামাএই মহেশ্বরীর মুখ কালি হইয়া গেল। তিনি দিবাকরকে দেখিতে পারিতেন না। তীক্ষ্ণদৃষ্টি উপেন্দ্র তাহা দেখিতে পাইয়াও বলিল, কি বল দিদি ? মহেশ্বরী নতমুখে চিন্তার ভান করিয়া ভাত মাখিতেছিলেন, মুখ তুলিয়া হাসি টানিয়া জানিয়া বলিলেন, বেশ ত । উপেন্দ্ৰ কহিল, শুধু বেশ হলে ত চলবে না দিদি, এ কাজ তোমার। পশুর বিয়ে তুমিই দিয়েছিলে, এখন সে বলে, তার মত ভাগ্যবতী যেন সবাই হয়। আমার বিশ্বাস তুমি যাতে হাত দেবে তাতেই সোনা ফলবে। . মহেশ্বরী চিন্ডিত-মুখে কহিলেন, কিন্তু শচীর একটু খুত আছে যে ! উপেন্দ্ৰ কহিল, আছে বলেই ত তোমাকে হাত দিতে বলচি। তোমার পুণ্যে সমস্ত নিখুত হয়ে যাবে। উপেন্দ্রর কথায় মহেশ্বরীর চিত্ত ক্রমশ: আর্জ হইয়া আসতেছিল, বলিলেন, কিন্তু উপীন, দিবাকরের মেজাজ বুঝতে পারিনে। বাড়ির মধ্যে থেকেও সে যে বাড়ি-ছাড়। পর। সেইজন্তেই ভয় হয়, পাছে ওইটুকু খুত নিয়ে শেষে একটা মন্ত অহুখের কারণ হয়ে দাড়ায় । জার এক কথা—দিবাকর কি রাজি হবে ?