পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ তারী, অন্তর যেন আরও অন্ধকার হইয়া উঠিল। শয্যার দিকে সে আর চাহিতেওঁ পারিল না। এইবার তাহার দুই চোখ ভরিয়া বড় বড় অঙ্গ বর বয় কবিয়া বরিয়া পড়িতে লাগিল । হায় রে রমণীর ভালবাসা ! এত দুঃখে, ইহারই মধ্যে কখন যে সে গোপনে নিঃশবে সতীশের সমস্ত অপরাধ ক্ষমা করিয় তাহাকে সেবা করিবার, স্বস্থ করিবার পিপাসায় আৰ্ত্ত হইয়া উঠিয়াছিল, এবং কখন যে তাহাকে দেখিবার, কথা কহিবার সৰ্ব্বগ্রাসী ক্ষুধায় উন্মত্ত হইয়া উঠিয়াছিল, এ সংবাদ বোধ করি তাহার অন্তর্ষামীও টের পান নাই। এখন, সেই দিককার সমস্ত আশা একমুহূর্তে মিথ্যায় মিলাইয়া যাইবামাত্রই তাহার সমস্ত অস্তিত্বটাই যেন এক দিীহীন শূন্ততার মাঝখানে ডুবিয়া গেল । ঠিক এই সময়টাতেই তাহার ঘারে বাহিরে বেহাৰী আসিয়া দাড়াইয়াছিল। সেইখানে, সেই দরজার চৌকাঠের উপর একভাবে বসিয়া বেলা পড়িয়া আসিতে লাগিল, তাহার খেয়াল ছিল না। এতক্ষণ পৰ্য্যস্ত একফোটা জলও তাহার গলায় যায় নাই। সেদিকেও ক্ৰক্ষেপ ছিল না, কিন্তু পথের লোকের লুব্ধ দৃষ্টিপথে হঠাৎ একসময় সে সঙ্কুচিত হইয়া দাড়াইল এবং সমস্ত দুৰ্ব্বলতা সজোরে দমন করিয়া তাহার ঘরের মধ্যে শয্যার পার্থে আলিয়া উপস্থিত হইল । ృa সতীশের চিত্তের মাঝে একটা বঙ্কির শিক্ষা যে অহৰ্নিশি জলিতেই লাগিল, এ-কথা সে নিজের কাছে অস্বীকার করিতে পারিল না । সেই আগুনে নিরন্তর দগ্ধ হইয়া তাহার অতৰভু সবল দেহটাও যে নিস্তেজ হইয়া আসিতেছে ইহা সে স্পষ্ট অনুভব করিয়া উদ্বিগ্ন হইয়া উঠিল। বেহারীকে ডাকিয় বলিল, জিনিস-পত্র আর একবার বাধতে হবে cब, चांछ नकाब गाफ़िtठ बांफ़ि बाद । বেহারী প্রশ্ন করিল, দেশের বাড়িতে, না পশ্চিমের বাড়িতে বাৰু? পশ্চিমের বাড়িতে, বলিয়া সতীশ প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্র কিনিবার টাকা তাহার হাতে দিয়া স্কুলে চলিয়া গেল বেহারীর আনন্দ ধরে না। তার বাড়ি মেদিনীপুর জেলায়, পশ্চিমের মুখ সে আজও দেখে নাই। সেই পশ্চিমে আজ রওনা হইতে হইবে। সে তৎক্ষণাৎ সোর-গোল করিয়া বাধা-ছাদা শুরু করিয়া দিল। পাড়ে আসিয়া জাহারের জাহান কৰিল । বেহাল্পী হালি-মুখে বলিল, ঠাকুরঙ্গী, তুমি খেয়ে নাও গে। আমার ভাত ፃፀ