পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐকান্ত প্রশ্ন করিলাম, এস্টিমেট কিসের ? বাড়িটা মেরামত করতে হবে না ? তেতলার ঘরটা আধখানা করে তারা ফেলে রেখেচে, পুরো করতে হবে না ? তা হবে, কিন্তু এত লোককে তুমি চিনলে কি করে ? বাঃ, এরা যে সব পাশের বাড়ির লোক ; কিন্তু আর না, যাই—তোমার খাবার তৈরীর সময় হয়ে গেল। এই বলিয়া সে উঠিয়া নীচে চলিয়া গেল । రి এক সকালে স্বামীজী আনন্দ আসিয়া উপস্থিত । তাহাকে আসাল নিমন্ত্রণ করা হঠথাছে বতন জানিত না, বিষ4মূখে আসিয়া আমাকে খবর দিল, বাবু, গঙ্গামাটির সেই সাধুটা এসে হাজির হয়েচে । বলিহারি তাকে, খুজে খুজে বা’র করেচে ত । রতন সৰ্ব্বপ্রকার সাধুসজ্জনকেই সন্দেহের চোখে দেখে, রাজলক্ষ্মীর গুরুদেবটিকে ত সে দু’চক্ষে দেখিতে পারে না, বলিল, দেখুন, এ আবার মাকে কি মতলব দেয় । টকা বার করে নেবার কত ফন্দিই যে এই ধাৰ্ম্মিক ব্যাটারা জানে । হাসিয়া বলিলাম, আনন্দ বড়লোকের ছেলে, ডাক্তারি পাশ করেচে, তার নিজের টাকার দরকার নেই । হ:—বড়লোকের ছেলে! টাকা থাকলে নাকি কেউ আবাব এপথে যায় ! এই বলিয়া সে তাহার স্বদঢ় অভিমত ব্যক্ত করিয়া চলিয়া গেল। রতনের আসল আপত্তি এইখানে, মায়ের টাকা কেহ বার করিয়া লইবার সে ঘোরতর বিরুদ্ধে । আবশ্য, তাহার নিজের কথা স্বতন্ত্র । BBBB BBBS BBBB BBBB BBBS BBBBS BB BBBB BBB BBS BBB ভালো ত ? দিদি কই ? বোধ হয় পূজায় বসেচেন, সংবাদ পাননি নিশ্চয়ই। তবে সংবাদটা নিজে দিই গে। পূজো করা পালিয়ে যাবে না, এখন একবার স্বান্নাঘরের দিকে দৃষ্টিপাত করুন। পূজোর ঘরটা কোন দিকে দাদা ? নাপতে ব্যাট গেল কোথায়—চায়ের একটু জল চড়িয়ে দিক না । পূজার ঘরটা দেখাইয়া দিলাম। আনন্দ রতনের উদেশে একটা হুঙ্কার ছাড়িয়া সেইদিকে প্রস্থান করিল। মিনিট-দুই পরে উভয়েই আসিয়া উপস্থিত হইল, আনন্দ কহিল, দিদি, গোটাপাচেক টাকা দিন, চা খেয়ে একবার শিয়ালদার বাজারটা ঘুরে আসি গে। \తీt