শরৎ-সাহিত্য-সংগ্রহ আমার সম্বন্ধে আর তাহার ক্রটি ধরিবার জো নাই। শতকর্থের মধ্যেও শতবার অলক্ষ্যে আসিয়া দেখিয়া যায়। কখনো হঠাৎ আসিয়া কাছে বসে, হাতের বইট সরাইয়া দিয়া বলে, চোখ বুজে একটুখানি শুয়ে পড়ে তো, আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিই ! অত পড়লে চোখ ব্যথা করবে যে ! আনন্দ আসিয়া বাহির হইতে বলে, একটা কথা জেনে নেবার আছে আসতে পারি কি ? রাজলক্ষ্মী কহে, পারে । তোমার কোথায় আসতে মান আনন্দ ? আনন্দ ঘরে ঢুকিয় আশ্চর্ঘ্য হইয়া বলে, এই অসময়ে দিদি কি ওঁকে ঘুম পাড়াচ্চেন নাকি ? রাজলক্ষ্মী হাসিয়া জনাব দেয়, তোমার লোকসানটা হ'লে কি ? না ঘুমালেও ত তোমার পাঠশালার বাছুরের পাল চরাতে যাবেন না ? দিদি দেখচি ওঁকে মাটি করবেন। নইলে নিজে যে মাটি। নির্ভাবনায় কাজকৰ্ম্ম করতে পারি নে। আপনারা দু’জনেই ক্রমশ: ক্ষেপে যাবেন, এই বলিয়া আনন্দ বাহির হইয়া যায়। ইgল তৈরীর কাজে আনন্দের নিশ্বাস কেলিবার ফুয়সত নাই, সম্পত্তি খরিদের স্থলসীয় রাজলক্ষ্মী গলদঘর্থ, এমনি সময়ে কলিকতার বাড়ি ঘুরিয়া বহু ডাকঘরের ছপছেপ পড়ে লইয়। বহু বিলম্বে নবীনের সাংঘাতিক চিঠি আসিয়া পৌছিল–গহর মৃত্যুশয্যায়। শুধু আমারই পথ চাহিয়া আজও সে বঁাচিয়া আছে। খবরটা আমাকে যেন শূল দিয়া বিধিল । ভগিনীর বাটি হইতে সে কবে ফিরিয়াছে জানি না । সে যে এতদূর পীড়িত তাহাও শুনি নাই—শুনিবার বিশেষ চেষ্টাও করি নাই—আজ এদিছে একেবারে শেষ সংবাদ । দিন ছয়ের পূর্বের চিঠি, এখনো বাচিয়া আছে ন্ধিন ভাই বা কে জানে ? তার করিয়া খবর পাবার ব্যবস্থা এদেশেও নাই, সে দেশেও নাই। ও চিন্তা বৃথা । চিঠি পাইয়। রাজলক্ষ্মী মাথায় হাত দিল—তোমাকে যেতে হবে ত । हैं । চলো, আমিও সঙ্গে যাই। লে কি হয় ? তাদের এ বিপদের মাঝে তুমি যাবে কোথায় ! প্রস্তাবট যে অসঙ্গত সে নিজেই বুঝিল, মুরারিপুর আখড়ার কথা আর সে মুখে জানিতে পারিল না, বলিল, রতনের কাল থেকে জর, সঙ্গে যাবে কে ? আনন্দকে द्व्लब् ? ు 38
