পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐীকান্ত কিন্তু আমি ত ভালো লিখতে জানিনে, গোসাই । তুমি যা লিখবে আমি তাই পড়ে নেব ? দিদির সঙ্গে দেখা করে যাবে না ? আবার দেখা হবে পদ্মা, আজ আমি যাই, বলিয়া বাহির হইয় পড়িলাম S8 সমস্ত পথ চোখ যাহাকে অন্ধকারেও খুজিতেছিল, তাহার দেখা পাইলাম রেলওয়ে স্টেশনে ; লোকের ভিড় হইতে দূরে দাড়াইয়া আমাকে দেখিয়া কাছে আসিয়া বলিল, একখানি টিকিট কিনে দিতে হবে গোসাই— সত্যিই কি তবে সকলকে ছেড়ে চললে ? এ-ছাড়া ত আর উপায় নেই । কষ্ট হয় না কমললতা ? এ কথা কেন জিজ্ঞেস করে গোঁসাই, জানো ত সব । কোথায় যাবে ? যাব বৃন্দাবনে। কিন্তু অতদূরের টিকিট চাইনে—তুমি কাছাকাছি কোন একটা জায়গার কিনে দাশু । অর্থাৎ আমার ঋণ যত কম হয় । তারপর শুরু হবে পরের কাছে ভিক্ষে, যতদিন না পথ শেষ ! এই ত ? ভিক্ষে কি এই প্রথম শুরু হবে গোসাই ? আর কি কখনো করিনি ? চুপ করিয়৷ রছিলাম। সে আমার পানে চাহিয়াই চোখ ফিরাইয়৷ পহল, কহিল, দাও বৃন্দাবনেরই টিকিট কিনে । তবে চল এক সঙ্গে যাই । তোমারো কি ঐ এক পথ নাকি ? বলিলাম, না, এক নয়, তবু যতটুকু এক করে নিতে পারি। গাড়ি আসিলে দু’জনে উঠিয়া বসিলাম । পাশের বেঞ্চে নিজের হাতে তাহার বিছানা করিয়া দিলাম । কমললতা ব্যস্ত হইয়া উঠিল—ও কি কবচ গোসাই ? করচি যা কখনো কারো জন্তে করিনি—চিরদিন মনে থাকবে বলে । সত্যি কি মনে রাখতে চাও ?

|