পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ কহিলেন, রসিকপুরে ? কার কি হয়েচে ? কেউ খবর দিয়ে গেছে নাকি ? কখন দিয়ে গেল ? জগদ্ধাত্রী একটা নিশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন, জয়রাম মুখুয্যের নাতির সঙ্গে যে বিয়ের একটা কথা হয়েছিল, যাও না, গিয়ে একবার পাত্রটিকে দেখেই এসে মা । প্রিয় কহিলেন, কিন্তু যাই কখন ? দেখলে ত, একটা বেলা না থাকলে কি কাণ্ড হয়ে যায়। অরুণের ওই দশা, আবার চাটুয্যেমশায়ের ওখান থেকে খবর দিয়ে গেছে র্তার শালীর নাকি ভারী অমুখ । জগদ্ধাত্রী কিছু বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, কার, জ্ঞানদার অমুখ ? কি হ’ল আবার তার ! প্রিয় বলিলেন, অম্বল ! অম্বল ! খাবার দোষে অজীর্ণ রোগ । কেবল গ বমি-বমি—অরুণের ওখান থেকে ফিরে গিয়ে একটা ফোটাই— জগদ্ধাত্রী বলিলেন, তাদের ওষুধ দেবার ঢের লোক আছে। তোমাব পায়ে পড়ি, একবার যাও রসিকপুরে । পত্রিটিকে একবার দেখে এসে যা হোক করে মেয়েটার একটা উপায় কর । গৃহিণীর অশ্রুবিকৃত কণ্ঠস্বর বোধ করি প্রিয়বাবুকে কথঞ্চিৎ প্রকৃতিস্থ করিল। কহিলেন, কিন্তু পান্ত্রটি যে শুনি ভারী বকাটে ! কেবল নেশা-ভাঙ— জগদ্ধাত্রী আর ধৈর্য্য রক্ষা করিতে পারিলেন না । সহসা র্কাদিয়া ফেলিয়া বলিলেন, করুক নেশ-ভাঙ, হোক গে বকাটে, তবু মেয়েটা দু’দিন নোয়া-সিন্দুর পরতে পাৰে ! তুমি কি ? তোমার হাতে আমার বাপ-মা যদি মেয়ে দিতে পেরে থাকেন, তুমিই বা পারবে না কেন ? এই বলিয়া তিনি অঞ্চলে চোখ মুছিতে মুছতে দ্রুতপদে চলিয়া গেলেন। প্রিয় অবাক হইয়া ক্ষণকাল চাহিয়া বুহিলেন, তাহার পরে বইখান। মুড়িয়া একটা দীর্ঘনিশ্বাস মোচন করিয়া কহিলেন, দু'দুটো সাজঘাতিক রুগী হাতে—এমনধারা করলে কি রেমিডি সিলেক্ট করা যায় ! বলিয়া পুনশ্চ একটা নিশ্বাস ফেলিয়া বইটা বগলে চাপিয়া ধীরে ধীরে বাহির হইয়া গেলেন । سيا স্বান, পূজাহিক এবং যথাবিহিত সাত্বিক জলযোগাদি সমাপনাস্তর মূৰ্ত্তিমান ভ্রাহ্মণের ন্যায় চাটুয্যেমহাশয় ধীরে ধীরে নীচে অবতরণ করিলেন, এবং বোধ হয় সোজা বাহিরেই যাইতেছিলেন, হঠাৎ কি মনে করিয়া পাশের বারানাটা ঘুরিয়া ›ሕ br