পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্রহ রাস্তা নেষ্ট । বিষয় সমস্তই দাদার নামে খরিদ ছিল। বিয়ে দিতে গিয়ে তিনি সৰ্ব্বস্ব ছোটবৌমার নামে দানপত্র করে দিয়ে এসেছেন। রেজিষ্টি পৰ্যন্ত হয়ে গেছে। দেশের দিকে মুখ ফেরাবার পথ নেই । দুই জায়ে মুখোমুখি হইয়া পাথরের মূৰ্ত্তির মত বসিয়া রছিলেন । DBB BB BBD DDBB DBB BBBS BBBB BB BB BB BD BBBS তীত ! কাগুজ্ঞানহীন উন্মাদ বলিয়া লাঞ্ছনা করিতে কেহ আৰু বাকী রাখিল না ! গিরীশ কিন্তু সকলের বিরুদ্ধে দাড়াইয়া ক্রমাগত বুঝাইতে লাগিলেন যে এ-ছাড় আর কোন রাস্তাই ছিল না। হতভাগ, নচ্ছার, বোম্বেটে, ছোটবৌমার গয়নাগুলো ৰেচিয়া খাইয়াছে ; আর একটু হইলেই বাড়ির ইটকাঠ পর্য্যন্ত বেচিয়া খাইত—দেশের বাড়ির অস্তিত্ব পর্যন্ত লুপ্ত হইয়া যাইত। তিনি সকল দিক বিশেষ বিবেচনা করিয়াই ভরাডুবি হইতে চাটুয্যে-বংশকে নিষ্কৃতি দিয়া আসিয়াছেন । শুধু সিদ্ধেশ্বরী একধারে স্তন্ধ হইয়া বসিয়াছিলেন, তালোমন্দ কোন কথাই এতক্ষণ বলেন নাই। সবাই চলিয়া গেলে তিনি উঠিয়া আসিয়া স্বামীর সম্মুখে দাড়াইলেন ! চোখ-দুটিতে জল তখনও টলটল করিতেছিল। দুই পায়ের উপর মাখা পাতিয়া পদধূলি মাথায় তুলিয়া লইয়া ধীরে ধীরে বলিলেন, আজ তুমি আমাকে মাপ কর । তোমাকে যায় যা মুখে এলো—বলে গাল দিয়ে গেল বটে, কিন্তু তুমি যে তাদের সবাইরের চেয়ে কত বড়, সে-কথা আজ যেমন বুঝেচি এমন কোনদিন নয় । গিরীশ মহা খুশী হইয়া মাথা নাড়িয়া বারংবার বলিতে লাগিলেন, দেখলে বড়বে, আমার সবদিকে নজর থাকে কিনা ? রমেশ কালকের ছোড়া, সে আমার চোখে ধুলে দিয়ে জামার এত কষ্টের বিষয় নষ্ট করে দেবে! এমনি কারদা বেঁধে দিয়ে এলুম যে, আর সেখানে বাছাধনের চালাকিটি চলবে না । বলিয়া কি জানি নিজের কোন হাসির কথায় নিজেই হে হে শৰে হাসিয়া ঘর দ্বার পরিপূর্ণ করিয়া ফেলিলেন । ארא