সাম্প্রদায়িক বাটোয়ার y বাংলার হিন্দু জনগনের আজকের এই সম্মিলনী র্যারা আহবান করেছেন, আমি র্তাদের একজন। এই বিশাল সভা কেবলমাত্র এই নগরের নাগরিকগণের নয় । আজি যারা সমবেত হয়েছেন, র্তারা বাংলার বিভিন্ন জেলার অধিবাসী । সকলের বর্ণ । হয়ত এক নয়, কিন্তু ভাষা এক, সাহিত্য এক, ধৰ্ম্ম এক, জীবনযাত্রার গোড়ার কথাটা এক,—যে বিশ্বাস যে নিষ্ঠা আমাদের ইহলোক পরলোক নিয়ন্ত্রিত করে, সেখানেও আমরা কেউ কারও পর নয়। পর করে দেবার নানা উপায় নানা কৌশল সত্ত্বেও বলব, আমরা আজ এক । যুগ-যুগান্ত থেকে যে বন্ধন আমাদের এক করে রেখেছে, সত্যই আজও তা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়ন । বাংলার সেই সমগ্র হিন্দুজাতির পক্ষ থেকে, যারা এই সভায় উদ্যোক্ত, তাদের পক্ষ থেকে আমি সবিনয়ে সসম্মানে রবীন্দ্রনাথকে আমন্ত্ৰণ করি—এই বিপুল আয়তন সভার নেতৃত্ব গ্রহণ করতে । একটা প্রথা আছে সভাপতির পরিচয় দেওয়া ; কিন্তু রবীন্দ্রনাথের এই বিরাট নামের সম্মুখে পিছনে পরিচয়ের কোন বিশেষণ যোগ করা যায় ! বিশ্বকবি, কবিসাৰ্ব্বভৌম ইত্যাদি অনেক কিছু মানুষে পূর্বেই আরোপ করে রেখেছে। কিন্তু আমরা— যারা তার শিষ্য-সেবক—নিজেদের মধ্যে শুধু 'কবি' বলেই তার উল্লেখ করি। বাইরে বলি রবীন্দ্রনাথ । সভ্য-জগতের এক-প্রান্ত থেকে অপরপ্রাস্ত পৰ্য্যন্ত এই ব্যক্তিটিকে বোঝাবার পক্ষে কারও অসুবিধা ঘটবে না । কবির মন ক্লান্ত, দেহ দুৰ্ব্বল, অবসন্ন। এই বিপুল জনতার মাঝখানে তাকে আহবান করে আন বিপজ্জনক। তবু তাকে অনুরোধ করেছিলাম। মনে মনে ইচ্ছে ছিল, দুনিয়ার কারও না অবিদিত থাকে এই সভার নেতৃত্বের ভার বহন করলেন কে ? কবি স্বীকার করলেন, বললেন, ভাল, তার বক্তব্য র্তার নিজের মুখ দিয়েই তবে ব্যক্ত হোক । র্তাকে আমাদের সকৃতজ্ঞ চিত্তের নমস্কার নিবেদন করি । ভারত-রাজ্যশাসনের নূতন যন্ত্র বিলাতের মন্ত্রিগণ বহুদিনে বহুত্বে প্রস্তুত করেছেন । জাহাজে বোঝাই দেওয়া হয়েছে,-এলো বলে । তার ছোট-বড় কত চাকা, কত দণ্ড, কত কলকঞ্জ, কোনটা কোনদিকে ঘোরে কোনদিকে ফেরে কোন মুখে এগোয় আমরা কেউ ঠিক জানিনে। এবং মূল্য তার শেষ পর্য্যন্ত যে কি দিতে °C3堡
