জীকাত্ত চতুর্থ পৰ্ব্ব S এতকাল জীবনটা কাটল উপগ্রহের মত। যাহাকে কেন্দ্র করিয়া বুরি, না পাইলাম তাহার কাছে আসিবার অধিকার, না পাইলাম দূরে যাইবার অনুমতি । অধীন নই, নিজেকে স্বাধীন বলার ও জোর নাই । কাশীর ফেরত-ট্রেনের মধ্যে বলিয়া বার বার করিয়া এই কথাই ভাবিতেছিলাম। ভাবিতেছিলাম, আমার ভাগ্যেই বা পুনঃপুন; এমন ঘটে কেন ? আমরণ নিজের বলিয়া কি কোনদিন কিছুই পাইব না ? এমন করিয়া কি চিরজীবন কাটিবে ? ছেলেবেলার কথা মনে পড়িল । পরের ইচ্ছায় পরের ঘরে বছরের পর বছর জমিয়া এই দেহটাকেই দিল শুধু কৈশোর হইতে ধৌবনে আগাইয়া, কিন্তু মনটাকে দিয়াছে কোন রসাতলে পানে খেদাইয়া । আজ অনেক ডাকাডাকিতেও সেই বিদায় দেওয়া মনের সাড়া BB BS BBBS BBB BB BBB BBBBB BBBB BB BBBS BBBS BBB বলিয়া নিঃসংশয়ে চিনিতে পারি না—বিশ্বাস করিতে ভয় পাই । এটা বৃঝিয়। আসিয়াছি রাজলক্ষ্মী আমার জীবনে আজ মৃত, বিসর্জিত প্রতিমার শেষ চিহ্নটুকু পৰ্যন্ত নদীতীরে দাড়াইয়। স্বচক্ষে দেখিয়া ফিরিয়াছি –আশা করিবার, কল্পনা করিবার, আপনাকে ঠকাইবার কোথাও কোন স্বত্র আর অবশিষ্ট রাখিয়া আসি নাই । ওদিকট নিঃশেষ নিশ্চিহ্ন হইয়াছে। কিন্তু এই শেষ ষে কতখানি শেয, তাহা বলিবই বা কাহাকে, আর বলিবই বা কেন ? কিন্তু এই ত সেদিন । কুমারসাহেবের সঙ্গে শিকারে ষাওয়া –দৈবাং পিয়ারীর গান গুনিতে বসিয়া এমন কিছু একটা ভাগ্যে মিলিল যাহা যেমন জাকস্মিক তেমনি অপরিসীম। নিজের গুণে পাই নাই, নিজের দোষেও হারাই নাই, তথাপি হারানোটাকে জাঙ্গ স্বীকার করিতে হইল, ক্ষতিটাই অামার বিশ্ব জুড়িম্বা রছিল। চলিয়াছি কলিকাতায়, বাসনা একদিন জাবার বর্ধায় পৌঁছিব । কিন্তু এ যেন সৰ্ব্বৰ
- -
دس}s
