পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ত্রয়োদশ সম্ভার).djvu/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ তিনি মুখ তুলিয়া বলিলেন, তোমাকে ত বহুবার বলেচি, ভারতী, কল্যাণ আমার কাম্য নয়, আমার কাম্য স্বাধীনতা। প্রতাপ চিতোরকে যখন জনহীন অরণ্যে পরিণত করেছিলেন, তখন, সমস্ত মাড়বারে তার চেয়ে অকল্যাণের মূর্তি আর কোথাও ছিল না—সে আজ কত শতাদের কথা -তত্ত্ব সেই অকল্যাণই আজও সহস্ৰ কল্যাণের চেয়ে বড় হয়ে আছে। কিন্তু থাকৃ এ-সব নিষ্ফল তর্ক, যা আমার ব্ৰত তার কাছে কিছুই আমার অসত্য, অকল্যাণ নেই। ভারতী চুপ করিয়া বসিয়া রহিল। তর্ক এবং মতভেদ অনেকদিন ত অনেকবারই হইয়া গিয়াছে, কিন্তু এমনধারা নয়। আজ তাহার সমস্ত মন যেন বিষণ্ণ ও ভারাক্রাস্ত হইয়া উঠিল। . . ডাক্তার ঘড়ির দিকে চাহিলেন, তাহার মুখের দিকে চাহিলেন, তাহার পরে সেই স্নিগ্ধ, সহজ হাসিমুখে কহিলেন, কিন্তু এদিকে ষে নদীতে ফের জোয়ার এসে পড়বার সময় হয়ে এল ভারতী, ওঠে । ভারতী উঠিয়া দাড়াইয়া বলিল, চল । ডাক্তার খাবারের পুটুলি হাতে করিয়া উঠিলেন, কছিলেন, সুমিত্র, ব্রজেক্স কোথায় ? সুমিত্র উত্তর দিল না, নতমুখে মৌন হইয়া রহিল। তোমাকে কি পৌঁছে দিয়ে আসবো ? সুমিত্রা ঘাড় নাড়িয়া শুধু বলিল, না। ডাক্তার কি একটা পুনরায় বলিতে গেলেন, কিন্তু আপনাকে সম্বরণ করিয়া । লইয়া শুধু কহিলেন, আচ্ছা। ভারতীকে কহিলেন, আর দেরি কোরো না দিদি, এস। এই বলিয়া বাহির হইয়া গেলেন। সুমিত্র তেমনি নতমুখে বসিয়া রহিল। ভারতী তাহাকে নিঃশবে নমস্কার করিয়া ডাক্তারের অমুসরণ করিল। &w�