রংতংগ্রহ
পাত বিষয়। বিন্দুর ছেলে বলিয়া আর একটা লিখিয়া পাঠাইয়া দিয়াছি-
একবার মনে করিয়াছিলাম তােমাকে দেখাইব, কিন্তু সময় হইল না।
অৰ তােমাদের ভারত কাগজের মােগ্য সেটা মোটেই হয় নাই, তার উপর
আবার একটু বড় আয়তনের হইয়া পড়িয়াছে। ভারতবর্ষের মত কাগলে অন্তত
২৬/২৭ পাতা—তাই, ও কাগজে ছাপান অসম্ভব বুঝিয়াই যমুনা পাঠাইয়া
দিয়াছি।
যই প্রভাতৰাৱর (প্রভাতকুমার মুখােপাধ্যায়) লেখা দেখলাম না তা ও
লােক প্রায় শতাধি গল্প লিখিয়াছেন। আর যে কি চর্বিত চর্বণ করিবেন আমি
ত ভাবিয়াই পাই না, অথচ অগ্রিম টাকাও লইয়াছেন। এ দিকে সাহিত্য সম্পাদকও
‘বঙ্গবাসী কাগজে বিপন দিয়াছেন যে প্রভাতবাবুর লেখা তার কাগজ ছাড়া
আর কোথাও বাহির হইবে না। ব্যাপার কি।
তােমাদের কাগজ বাহির করিবার জন্য তােমাকে বােধ হয় খুব পরিশ্রম করিতে
হয়; এটা ভাল। এই সময়ে হয়ত তােমারও কাজ হইয়া যাইতে পারে। যদি সত্যিই
তােমার ভিতরে পদার্থ কে নাড়াচাড়া করিয়া এই সময়ে বাহিরে আসিতে পারে।
এ সাহিত্যচর্চার সংবই আলাল। তােমার মত এক হিসাবে নিৰ্মা লােকের এই
সময় যদি কিছু দায়ে পড়িয়া পরিশ্রম করিবার সময় নিজের বস্তু উজ্জল হইয়া উঠিবার
অবকাশ এবং সুযােগ পায় সেইটাই লাভের কথা তােমার।
গত ৰারে তুমি আমাকে লিখিয়াছিলে এ বিষয়ে এত সাধাসাধি অনুনয়
প্রভৃতি আরও কত কি হইয়া গিয়াছে যে আর বলা শশাভা পায় না। আমি এইটাই
ভয় করিয়াছিলাম যে পরের ভালাে করিতে গিয়া নিজেদের মন না হইয়া যায়
অর্থাৎ আত্মমনােমালিতে না পাড়ায়
।।
প্রমথনাথ-ইতিপূর্বে বােধ হয় আমার সম্পূর্ণ চিঠিটা পেয়েছ। যে দিন চিঠি
লিখেছিলাম, হঠাৎ দেখি ডাক নিয়ে পিয়া যাচ্ছে, আর সময় নাই, কাজেই যেটুকু
লিখেছিলাম, বন্ধ করে পাঠালাম। আজ তোমার আর একটা পত্র পেলাম। প্রথমে
কাজের কথা বলি। দেবদাস’ নিয়াে না, নেবার চেষ্টাও করে না।•••এটার সে
আমি নিজেও ললিত। ওটা immoral, বো চৰিত্ৰ ত আছেই, তাছাড়া আরও
কি কি আছে বলে মনে হয় যেন। আর আগেকার লেখা প্রকাশ করা সব।
পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ত্রয়োদশ সম্ভার).djvu/৩৫৪
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
