শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ জীবানন্দ । চোখ বুজে শুয়ে কত কি মনে হচ্ছিল প্রফুল্প। মনে হচ্ছিল, আশ্চৰ্য্য এই পৃথিবী । নইলে আমার জন্যে চোখের জল ফেলতে তোমাকে পেয়েছিলাম কি করে ? প্রফুল্ল। আপনি ত জানেন— জীবানন্দ । জানি বই কি প্রফুল্ল । কিন্তু এককড়ি তার কি জানে ? সে জানে তারই মত তুমিও শুধু একজন কৰ্ম্মচারী, এক পাষণ্ড জমিদারের তেমনি অসাধু সঙ্গী। কত যে করেচ, নীরবে কত যে সয়েচ, বাইরের লোকে তার কি খবর রাখে । মাঝে মাঝে যখন অসহ্য হয়েচে দুটো ভাত-ডাল যোগাড়ের ছল করে ত্যাগ করে যেতে চেয়েচ, কিন্তু যেতে আমি দিইনি। আজ ভাবি ভালোই করেছি। সত্যই ছেড়ে চলে যদি যেতে প্রফুল্ল, আজকের দুঃখ রাখবার জায়গা পেতে কোথায় ? প্রফুল্ল । দাদা— জীবানন্দ । একটুখানি কাগজ-কলম আনো না প্রফুল্ল, তোমার দাদার স্নেহের 矿问一 প্রফুল্ল । ( পদতলে নতজাঙ্গু হইয়া বসিয়া ) স্নেহ আপনার অনেক পেয়েচি দাদা, সেই শুধু আমার সম্বল হয়ে থাক। আপনি কেবল আমাকে এই আশীৰ্ব্বাদ করুন, নিজের পরিশ্রমে যা-কিছু পাই এ জীবনে তার বেশী না লোভ করি । জীবানন্দ ( ক্ষণকাল নিস্তব্ধ থাবির ) বেশ, তাই হোক প্রফুল্ল। দান করে তোমাকে আমি খাটো করে যাবো না । কিন্তু লোভা তুমি ত কোনদিনই নও! [ বল্লভ নিঃশব্দে প্রবেশ করিয়া ঔষধের পাব প্রফুল্পর হাতে দিয়া তেমনি নিঃশবো প্রস্থান করিল । ] প্রফুল্ল। দাদা ? এই ওষুধটুকু খান । [ প্রফুল্ল কাছে আসিয়া ঔষধ জীবানন্দের মুখে ঢালিয়া দিয়া নিজের ক্টোচার খুট দিয়া তাহার ওষ্ঠপ্রাস্ত মুছাইয়া দিল ] জীবানন্দ । কি ভয়ানক অন্ধকার প্রফুল্ল । রাত্রি কত হ’লো ভাই ? প্রফুল্ল। রাত্রিত এখনো হয়নি দাদা। : , জীবানন । হয়নি ? তবে আমার দু'চোখে এ নিবিড় আধার কিসের প্রফুল্ল ? , প্রফুল্ল। অন্ধকার ত নেই দাদা। এখনো যে সুৰ্য্যাস্তও হয়নি । - জীবানন্দ । হয়নি ? যায়নি স্বৰ্য্য এখনো ডুবে ? তবে খোল, খোল আমার স্বমুখের জানাল, খুলে দাও প্রফুল্প, একবার দেখি তাকে। যাবার আগে আমার শেষ नंभकांज्ञ छानिएग्न थांझे । 2br
পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/১০৮
অবয়ব