8क्कूढ़ेब्र फ़ैश्ण ত আমি দশটা পাশ করতে পাৰি, তা জানিস? আমি মুখ ? বাড়ি ঢুকলে দরওয়ান দিয়ে তাকে দূর করে দেব-দেখি, কে তাকে রাখে ! এমনি অসংলগ্ন এবং নিরর্থক কত-কি সে অবিশ্রান্ত চীৎকার কল্পিত লাগিল। ভবানী সেই যে নীরব হইয়াছিলেন, আর কথা কহিলেন না। বহুক্ষণ পৰ্য্যও একভাবে পাথরের মত বসিয়া থাকিয়া একসময়ে ধীরে ধীরে উঠিয়া গেলেন। Wo তখন ঝগড়া হইল বটে, কিন্তু সেই রাত্রেই যে স্ত্রীর সহিত গোকুলের একটা মিটমাট হইতে বাকী রহিল না, সে তাহার পরদিনের ব্যবহারেই বুঝা গেল। হঠাৎ সকাল হইতে সে সমস্ত কাজকর্শ্বে ইাকড়াক করিয়া লাগিয়া গেল এবং আগামী কর্মের দিনটি আসিয়া পড়িতে যে মাত্র তিনটি দিন বাকী রহিয়াছে, সে-কথা বাড়িগুদ্ধ সকলকে পুনঃ পুনঃ স্মরণ করাইয়া ফিরিতে লাগিল। বাহিরের যে-কেহ বিনোদের নাম উথাপন করিলেই, আজ সে কানে আঙুল দিয়া বলিতে লাগিল, নিজের বাপ যাকে মৃত্যুকালে ত্যাজ্যপুত্র করে যায়, তার কথা কেউ জিজ্ঞাসা করবেন না । আমাদের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই । আমার যে ভাই ছিল সে মরে গেছে । তাহার কথা শুনিয়া কেহ চোখ টিপিয়া আর একজনকে ইঙ্গিত করিল, কেহ অলক্ষ্যে ঘাড় নাড়িয়া মনের ভাব প্রকাশ করিল। অর্থাৎ এই সোজা কথাটি কাহারে অবিদিত রহিল না যে, বিনোদ একেবারেই পথে বসিয়াছে এবং গোকুল যে-কোন কৌশলেই হোক, ধোল-আনাই গ্রাস করিয়াছে। এখন গোপনে অনেকেই বিনোদের জন্ত সহায়ভূতি প্রকাশ করিতে লাগিল। এমন কি, সে আসিয়া এই ভয়ানক জুয়াচরির বিরুদ্ধে আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করিলে, তাহাদের নিকট সাহায্য পাইতেও পারিবে— এরূপ আভাসও কেহ কেহ দিতে লাগিল । স্থবিজ্ঞ জয়লাল বাড়ুয্যে স্পষ্টই বলিতে লাগিলেন যে, মাস্থ্যকে যে চিনিতে পারা যায় না, তাহার জীবন্ত প্রমাণ এই গোকুল মজুমদার। শুধু তাহার চক্ষেই সে ধুলি প্রক্ষেপ করিতে পারে নাই। কারণ পাড়ার সমস্ত ছেলে-বুড়ো মেয়ে-পুরুষে যখন একবাক্যে গোকুলকে স্তায়নি, ভ্রাতৃবৎসল, ধৰ্ম্মরাজ যুধিষ্টির বলিয়া চীৎকারে গগন বিদীর্ণ করিয়াছে, তখন তিনিই শুধু চুপ করিয়া হাসিয়াছেন, আর মনে মনে বলিয়াছেন, আরে, সৎমার ছেলে, বৈমাত্র ভাই—তার እ »?
পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/১২৯
অবয়ব