বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

तकूरéद्र छैहेल জমক করিয়া নাম কিনিবার ইচ্ছা তাহার মনের ভিতর হইতে মরীচিকার মত মিলাইয়া গেল । অথচ আজ সকাল হইতেই তাহার উৎসাহ এবং চেঁচামেচির বিরাম ছিল না। সহসা সন্ধ্যার পরেই সে আসিয়া যখন তাহার কম্বলের শয্যাশ্রয় করিয়া শুইয়া পড়িল, তাহার স্ত্রী ঘরে ঢুকিয়া অতিশয় বিশিত হইল। তোমার কি অম্লখ করেচে ? গোকুল উদাসভাবে কহিল, না বেশ আছি । তবে, আমন করে শুলে যে ? গোকুল জবাব দিল না। মনোরম পুনরায় প্রশ্ন করিল, ঠাকুরপোর সঙ্গে কথা-টখা কিছু হ’লে ? গোকুল কহিল, না । - তখন বড়বন্ধু অদূরে মেঝের উপর বসিয়া আসন গ্রহণ করিয়া ফিস্ ফিস্ কবিয়া বলিল, ঠাকুরপো কি বলে বেড়াচ্ছে অনেচ ? গোকুল মৌন হুইয়া রহিল। মনোরম তখন আরও একটু ঘেষিয়া আসিয়া কহিল, বলে, বাবার ব্যামো-তামো কিছুই জানিনে, হাজারিবাগ না কোথায়—কত ফন্দিই জানে তোমার এই ভাইটি ! গোকুল নিরীহভাবে প্রশ্ন করিল, ফদি কেন ? তুমি বিশ্বাস কর না ? মনোরম বলিল, আমি ? ন্যাক ? এক-গলা গঙ্গাজলে দাড়িয়ে বললেও করিনে । কথাটা গোকুলের অত্যন্ত বিশ্ৰী লাগিল । তাহার এই অসাধারণ চারটে পাশকরা কুলপ্রদীপ ভাষ্টটির বিরুদ্ধে কেহ কোন কথা বলিলেই সে চটিয়া উঠিত। কিন্তু আজ নাকি তাহার বুক-জোড়া ব্যথায় সমস্ত দেহ অবসন্ন হইয়া গিয়াছিল, তাই সে চুপ করিয়াই রছিল। ঘরে প্রদীপ ছিল বটে, কিন্তু সে আলোক তেমন উজ্জল ছিল না—মনোরম তাহার স্বামীর মুখের ভাবটা ঠিক লক্ষ্য করিতে পারিল না ; বলিয়া উঠিল, খুব সাবধান, খুব সাবধান! এখন অনেকরকম ফন্দি-ফিকির হতে থাকবে—কিছুতে কান দিয়ে না। বাবাকে জিজ্ঞেস না করে একটি কাজও করতে যেয়ো না যেন । কাল. সকালের গাড়িতেই তিনি এসে পড়বেন-আমি অনেক করে চিঠি লিখে দিয়েচি। যাই বল, বাবা না এলে আমার কিছুতে ভয় খুচবে না । গোকুল উঠিয়া বলিল, তোমার বাবা কি আসবেন ? צ9\3