वकूरkब्र डैईलं শ্বশুরমশাই ক্ষীরের বাটিটা এক-চুমুকে নিঃশেষ করিয়া বাটির কানায় গোফটা মুছিয়া লইয়া চোখ তুলিয়া কহিলেন, বাবাজী, একটি প্রশ্ন করি তোমাকে । বলি হাতের ঢ়িল আর মুখের কথা একবার ফসকে গেলে কি আর ফেরানো যায় ? গোকুল হতবুদ্ধি হইয়া কহিল, আজ্ঞে না । নিমাই কস্তার প্রতি চাহিয়া একটু স্নিগ্ধ-গম্ভীর হাস্য করিয়া জামাতাকে কহিলেন, তবে ? এই "তব্যের উত্তর জামাতা কিন্তু আকাশ-পাতাল খুজিয়া বাহির করিতে পারিল না, চুপ করিয়া রহিল। নিমাই ভূমিকাটি ধীরে ধীরে জমাট করিয়া তুলিতে লাগিলেন ; কহিলেন, বাবাজী, তোমরা ছেলেমানুষ দুটিতে যে কান্নাকাটি করে আমাকে এই তুফানে হাল ধরতে ডেকে আনলে—ত হাল আমি ধরতে পারি, ধরবও ; কিন্তু তোমাদের ত ছট্ফট্ করলে চলবে না বাবা । যেখানে বসতে বলব, যেখানে দাড়াতে বলব, ঠিক তেমনি করে থাকা চাই, তবেই ত এই সমূত্রে পাড়ি জমাতে পারব । বিনোদ বাবাজী হাজারীবাগে ছিলেন, এই যে সব এলোমেলো কথা যাকেতাকে বলে বেড়াচ্চ, এটা কি হচ্চে ? এ যে নিজের পায়ে নিজে কুডুল মারা হচ্চে, সেটা কি বিবেচনা করতে পারচ না ? w পিতার বক্তৃতা শুনিয়া কন্যা আহলাদে গদগদ হইয়া ফিসফিস্ করিয়া বলিতে লাগিল, হচ্ছেই ত বাবা । তাইতে ত তোমাকে আমরা ডেকে এনেচি । আমরা কিছু জানিনে —তুমি যা বলবে, যা করবে, তাই হবে । আমরা জিজ্ঞেস পর্য্যন্ত করব না, তুমি কি করচ না করচ | পিতা খুশী হইয়া কহিলেন, এই ত আমি চাই মা ! মামল-মকদ্দমা অতি ভয়ানক জিনিস, শোননি মা, লোকে গাল দেয় “তোর ঘরে মামলা ঢুকুক’ । সেই মামলা এখন তোমাদের ঘরে । আমাদের নাকি বড় পাকা মাথা, তাই সাহস করচি, তোমাদের আমি কিনারায় টেনে তুলে দিয়ে তবে যাব—এতে আমার নিজের যাই হোক। একটি একটি করে তাদের গলা টিপে বার করব, তবে আমার নাম বন্দিপাড়ার নিমাই রায় —বলিয়া তিনি মুখের ভাবটা এমনধারাই করিলেন যে, ওয়াটারলুর লড়াই জিতিয়া ওয়েলিংটনের মুখেও বোধ করি অতবড় গৰ্ব্ব প্রকাশ পায় নাই। গলা বাড়াইয়া দ্বারের বাহিরে দৃষ্টিনিক্ষেপ করিয়া কহিলেন, মহ, এইখানেই আমার হাতে একটু জল দে, মুখটা ধুয়ে ফেলি ; আর বাইরে যাব না। আর আমনি একটু বেরিয়ে দেখ মা, কেউ কোথাও কান পেতে টেতে আছে কিনা। বলা যায়ন ত-এ হ'লে শক্রয় পুরী । 9\─&
পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/১৪৫
অবয়ব