পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্রহঁ মনোরম ফোস ফোস করিয়া কাদিয়া কহিল, আর যদি কোনদিন তুমি ওখানে যাও—আমি গলায় দড়ি দিয়ে মরব। মেয়ের উৎসাহ পাইয়া রায়মশাই অধিকতর গম্ভীরভাবে কহিলেন, সে মাগী কি সোজা— গোকুল বোমার মত ফাটিয়া উঠিল—চোপরাও বলচি । আমার মায়ের নামে ও রকম কথা কইলে ঘাড় ধরে বার করে দেব। বলিয়া নিজেই ঝড়ের মত বাহির হইয়া গেল । রায়মশায় ও র্তাহার কন্যা বজাহতের ন্তায় পরম্পরের মুখপানে চাহিয়া বসিয়া রছিলেন। গোকুল এ কি করিল ! পূজ্যপাদ শ্বশুর-মহাশয়কে এ কি ভয়ঙ্কর অপমান করিয়া বসিল ! ১৩ বিনোদের বেশ একটি বন্ধুর দল জুটিয়াছিল যাহারা প্রতিনিয়তই তাহাকে মকদ্দমায় উৎসাহিত করিতেছিল । কারণ, হারিলে তাহদের ক্ষতি নাই—জিতিলে পরম লাভ । অনেকদিনের অনেক আমোদ-প্রমোদের খোরাক সংগ্রহ হয় । আবার মকদ্দম। যে করিতেই হইবে, তাহাও একপ্রকার নিশ্চিত অবধারিত হইয়াছিল। যে-হেতু বিনোদের তরফ হইতে যে বন্ধুটি আপোষে মিটমাট করিবার প্রস্তাব লইয়া একদিন গোকুলের কাছে গিয়াছিল, গোকুল তাহকে হাকাইয়া দিয়া বলিয়াছিল, বয়াটে নচ্ছার পা জকে এক সিকি-পয়সার বিষয় দেব না-যা পারে সে করুক । কিন্তু এতবড় বিষয়ের জন্য মামলা রুজু করিতে একটু বেশী টাকার আবশ্যক। সেইটুকুর জন্যই বিনোদের কালবিলম্ব হইয়া যাইতেছিল । দাদার উপর বিনোদের যত রাগই থাকুক, সেইদিন হইতেই কেমন যেন তাহার প্রাণটা কাদিয়া কাদিয়া উঠিতেছিল। অত লোকের সম্মুখে অপমানিত হইয়া যেমন করিয়া সে ছুটিয়া পলাইয়াছিল, তাহার মুখের সে আর্ত ছবিটা সে কোনমতেই ভুলিতে পারিতেছিল না । বুকের ভিতরে কে যেন অমুক্ষণ বলিতেছিল— অস্কায়, অন্যায়, Y & 9