डिन्न সেবার বসন্ত রোগে লোক মরিতে লাগিল খুব বেশী। হরিশকেও রোগে ধরিল। কবিরাজ আসিয়া পরীক্ষা করিয়া মুখ গষ্ঠীর করিলেন ; কহিলেন, মারাত্মক। রক্ষা পাওয়া কঠিন । রায়বাহাদুর তখন পরলোকে । হরিশের বৃদ্ধ মাতা আছাড় খাইয়া পড়িলেন। নিৰ্ম্মলা ঘর হইতে বাহির হইয়া কহিল, আমি যদি সতী মায়ের সতী কন্যা হই, আমার নোয়া-সিন্ধর ঘোচাবে সাধি কার? তোমরা ওঁকে দেখো, আমি চললুম। বলিয়া সে শীতলার মন্দিরে গিয়া হত্যা দিয়া পড়িল । কহিল, উনি বাচেন ত আবার বাড়ি ফিরব, নইলে এইখান থেকে ওঁর সঙ্গে যাব। সাতদিনের মধ্যে দেবতার চরণামৃত ভিন্ন কেহ তাহাকে জল পৰ্য্যস্ত খাওয়াইতে পারিল না । কবিরাজ আসিয়া বলিলেন, মা, তোমার স্বামী আরোগ্য হয়েচেন, এবার তুমি ঘরে চল । লোকে ভিড় করিয়া দেখিতে আসিল। মেয়েরা পায়ের ধূলা লইল, তাহার মাথায় থাবা থাবা সি দুর ঘষিয়া দিল, কহিল, মানুষ ত নয়, যেন সাক্ষাৎ মা বৃদ্ধের বলিলেন, সাবিত্রীর উপাখ্যান মিথ্যে, না, কলিতে ধৰ্ম্ম গেছে বলেই একেবারে ষোলো-মানা গেছে ? যমের মুখ থেকে স্বামীকে ফিরিয়ে নিয়ে এলো । বন্ধুব লাইব্রেরীর ঘরে বলাবলি করিতে লাগিল, সাধে আর মানুষে স্ত্রীর গোলাম হয় হে! বিয়ে ত আমরাও করেচি, কিন্তু এমন নইলে আর স্ত্রী ! এখন বোঝা গেল হরিশ সন্ধ্যার পরে বাইরে থাকত না কেন । বীরেন উকিল ভক্ত লোক, গত বৎসর ছুটিতে কাশী গিয়া সে সন্ন্যাসীর কাছে মন্ত্র লইয়া জাসিয়াছে, টেবিলে প্রচণ্ড করাঘাত করিয়া কহিল, আমি জানতাম হরিশ মরতেই পারে না। সত্যিকার সতীত্ব জিনিসটা কি সোজা ব্যাপার হে! বাড়ি থেকে বলে গেল, যদি সতী মায়ের সতী কন্যা হুই ত-উঃ । শরীর শিউরে ওঠে। তারিণী চাটুষ্যের বয়স হইয়াছে, আফিংখোর লোক। একধারে বসিয়া নিবিষ্টচিত্তে তামাক খাইতেছিল, কাটা বেহায়ার হাতে দিয়া নিশ্বাস ফেলিয়া বলিল, শাস্ত্ৰমতে সহধৰ্ম্মিণী কথাটা ভারি শক্ত। আমার দেখ না কেবল মেয়েই সাতটা । বিয়ে দিতে रिफरे क्ड़्द्र श्त्र अजाय । २३6 ১৯ম-২৯
পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/২৩৫
অবয়ব