বাল্যকালের গ* এখন অভয় পেয়ে কেটা কামতে কঁদিতে সমস্ত ঘটনা বিবৃত করলে। মুখুয্যেদম্পতির উপর কা ও সহানুভূতি ছিল না । শুনে অনেকের করুণাও হলো । বললুম, লতিফ বাড়ি যাও, আর কখনও এ-সব কাজে এসে না। সে নাক মললে, কান মললে –খোদার কিরে নিয়ে বললে, বাবুমশায়, আর এ-সব কাজে কখনো না । কিন্তু আমার ভাই গেল কোথায় ? বললুম, ভায়ের ভাবনা বাড়ি গিয়ে ভেবে লতিফ, এখন নিজের প্রাণটা যে বঁাচল এই ঢের । লতিফ খোড়াঙে থোড়াতে কোনমতে বাড়ি চলে গেল । অনেক রাত্রে আর একটা প্রচও কোলাহল উঠল ঘোষালদের পাড়ায় । তাদের ঝি গোয়ালে ঢুকছিল গরুকে জাব দিতে। খড়ের ঝুড়ি টানতে গিয়ে দেখে টানা যায় না—হঠাৎ তার মধ্যে থেকে একটা ভীষণ-মূৰ্ত্তি লোক বেরিয়ে ঝির পা দুটাে জড়িয়ে ধরলে | ঝি যতই চেঁচায়, বেরোও গো কে কোথা আছ,—ভূত আমাকে খেয়ে ফেলগে । ভূত ততই তার মুখ চেপে ধরে বলে, মা গো, আমাকে বাচাও-আমি ভূত-পেরেত बहै, অামি মানুষ । টীংকারে বাড়ির কৰ্ত্ত আলো নিয়ে লোকজন নিয়ে এসে উপস্থিত—আগের ঘটনা গায়ের সবাই শুনেচে । সুতরাং ছোট ভায়ের ভাগ্যে বড় ভাইয়ের ছৰ্গতি আর ঘটল না, সৰাই সহজে বিশ্বাস করলে এই সেই মামুদ মিঞা । ভূত নয়। ঘোষাল তাকে ছেড়ে দিলে—শুধু তার সেই পাক লাঠিটি কেড়ে নিয়ে বললে, ছোট মিএগ, সমস্ত জীবন মনে থাকলে বলে এটা রেখে দিলুম ! মুখের ঐ সব রঙ টঙ ধরে ফেলে এখন আস্তে আস্তে ঘরে যাও । কৃতজ্ঞ মামুদ একশ সেলাম জানিয়ে ধীরে ধীরে সরে পড়ল। ঘটনাটি ছেলে জুলামে গল্প নয়, সত্যই আমাদের ওখানে ঘটেছিল। ቅ እወ
পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/২৮৫
অবয়ব