श्रृंद्भ९-न, श्डिg-मूर¢ãश् কলিকা ৩াবাসী নতুন-দাদার অভিজ্ঞ তায় ইন্দ্র ঈষৎ স্নান হাসিয়া কহিল, “দাড় । কারুর সাধ্যি নেই, নতুন-দা, এ রে ত ঠেলে উজান বয়ে যায়। মামাদের ফিরতে হবে ।” প্রস্তাব শুনিয়া নতুন-দা একমুহূর্বেই একেবারে অগ্নিশৰ্ম্ম হইয়া উঠিলেন, “তবে আনলি কেন হতভাগা ? যেমন করে হোক ভোকে পৌছে দিতেই হবে । আমার থিয়েটারে হারমোনিয়াম বাজাতেই হবে। তারা বিশেষ করে ধরেচে।” ইন্দ্ৰ কহিল, “ঙানের বাজাবার লোক আছে নতুন-দা। তুমি না গেলেও আটকাবে না ।” “ন! আটকাবে না ? এই মেড়োর দেশের ছেলেরা বাজাবে হারমোনিয়াম । চল, যেমন করে পারিস নিয়ে চল।” বলিয়া তিনি যেরূপ মুখভঙ্গি করিলেন তাহাতে আমার গা জলিয়া গেল । ইহার বাজনা পরে শুনিয়াছিলাম, কিন্তু সে-কথার অার প্রয়োজন নাই । ইন্দ্রর অবস্থা-সঙ্কট অনুভব করিয়া আমি আস্তে আস্তে কহিলাম, “ইন্দ্র, গুণ টেনে নিয়ে গেলে হয় না ?” কথাটা শেষ হইতে না হইতেই আমি চমকিয়া উঠিলাম। তিনি এমনি দাত-মুখ ভ্যাংচাইয়া উঠিলেন যে, সে মুখখানি আমি আজও মনে করিতে পারি। বলিলেন, *তবে যাও না, টানো গে না হে ! জানোয়ারের মত বসে থাকা হচ্ছে কেন ?” তার পরে, একবার ইঞ্জ, একবার আমি, গুণ টানিয়া অগ্রসর হইতে লাগিলাম । কখনো বা উচু পাহাড়ের উপর দিয়া, কখনো বা নিচে নামিয়া এবং সময়ে সময়ে সেই বরফের মত ঠাণ্ড জল ঘেধিয়া অত্যন্ত কষ্ট করিয়া চলিতে হইল। আবার তারই মাঝে মাঝে তামাক সাজার জন্য নৌকা থামাইতে হইল। অথচ বাবুটি ঠায় বসিয়া বহিলেন—এতটুকু সাহায্য করিলেন না। ইন্দ্র একবার তাহাকে হালটা ধরিতে বলায় জবাব দিলেন, তিনি দস্তান খুলে এই ঠাগুয়ে নিমোনিয়া করতে পারবেন না । ইন্দ্র বলিতে গেল, “না খুলে—” “ই, দামী দস্তানাট মাটি করে ফেলি আর কি ?—ন—যা করচিস কর।” বণ্ডতঃ আমি এমন স্বার্থপর অসজন ব্যক্তি জীবনে অল্পই দেখিয়াছি । তারই একটা অপদার্থ খেয়াল চরিতার্থ করিবার জন্য আমাদের এত ক্লেশ ; সমস্ত চোখে দেখিয়াও তিনি এতটুকু বিচলিত হইলেন না। অথচ আমরা বয়সে তাহার অপেক্ষা ক তই বা ছোট ছিলাম। পাছে এতটুকু ঠাও লাগিয়া তাহার অঙ্কণ করে, পাছে এক ফোটা জল লাগিয়া দামী ওভারকোট খারাপ হইয়া যায়, পাছে নড়িলে-চড়িলে ՀԵՀ